দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মহেশতলায় (Maheshtala) এক আবাসনের দশ তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত ৮ বছরের বালিকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মহেশতলার ওই আবাসনে এক ফ্ল্যাট মালিকের গতকাল গৃহপ্রবেশ ছিল। তাঁরই মেয়ে সামনের করিডরে খেলছিল। অভিযোগ, সেখানে একটা ফাঁকা জায়গা ঢাকা ছিল প্লাস্টিক ও প্লাইউড দিয়ে। সেই জায়গা দিয়েই পড়ে যায় বালিকা। নীচেও একাধিক জায়গায় পলকা আচ্ছাদন ছিল। তার ওপর গিয়ে পড়ে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় CMRI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে আজ সকালে আবাসিকরা বিক্ষোভ দেখান। কর্তৃপক্ষের কাউকে না পেয়ে অফিস বন্ধ করে দেন আবাসিকরা। আবাসনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। আপাতত ২ পক্ষই মহেশতলা থানায় এসেছে।
প্রসঙ্গত, বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দোতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় যুবকের। চলতি বছরের মে মাসে ঘটনাটি ঘটে বেহালার সেনহাটি এলাকায়। মৃতের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাঁকে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। বেহালায় যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই ঘটনায় দানা বাঁধে রহস্য। দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের। দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা না কি ঠেলে ফেলে দিয়েছে কেউ ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মৃতের বন্ধুকে। ঘটনাটি ঘটে ভোরের দিকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে দাবি, বেহালার সেনহাটিতে বন্ধু বিতান সেনের বাড়িতে আসেন ২৭ বছরের কুশল চক্রবর্তী। বিতান ও কুশল ছাদে বসে মদ্যপান করেন। সেই সময় ফোন করে ডেকে নেওয়া হয় কুশলের এর ভাইকেও। বিতান দাবি জানিয়েছিল, ভোরে তিনি ও কুশলের ভাই নীচে নেমে আসেন। সে সময় কুশল নামেননি। এর কিছুক্ষণ পর ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়ে বিতানের কাকা ছাদে যান। তাঁর দাবি, তিনি দেখেন, পাশের বাড়ির প্যাসেজে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কুশল। এর পর গুরুতর আহত কুশলকে প্রথমে বিদ্যাসাগর হাসপাপাতাল ও পরে NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। NRS হাসপাতালে মৃত্যু হয় কুশলের। বিতান বলেন, ‘রাতে এসেছে। তারপর ছাদে যাই। ড্রিঙ্ক করেছিলাম। ভোরে নেমে আসি দুজনে। ও নামেনি। তারপর ঘটনা ঘটে।’
শহর কলকাতা তো বটেই, জেলায় জেলায় এখন ফ্ল্যাট গড়ে উঠছে। বিমানবন্দর এলাকা বাদ দিলে ফ্ল্যাটের উচ্চতাও প্রায় আকাশ ছোঁয়া। কারণ বর্তমানে জমি কিনে বাড়ি করা, প্রায় সাধ্যের বাইরে, কারও কাছে সময়ের বাইরে। একে তো দামও দিগন্ত ছোঁয়া। পাশাপাশি টাকা থাকলেও অধিকাংশ চাকরিজীবী পরিবারের দীর্ঘ সময়ও নেই। তাই একচাবিতেই প্রবলেম সলভ করতে অনেকেই ফ্ল্যাট বা শহরের দিগন্ত ছোঁয়া আবাসনের বাসিন্দা হয়ে চলেছেন। অনেক ক্ষেত্রে তিনজনের পরিবারের দুজনই চাকরি করেন। ছেলেমেয়ে স্কুলের পর অনেকটা সময় বাড়িতেই একা কাটাতে হয়। তাই নানা দিক থেকে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি স্বল্প সময়ে গড়ে ওঠা ফ্ল্যাটগুলি নিয়েও একাধিক অভিযোগ থেকেই যায় বাসিন্দাদের। তবে বহু সতর্কতার পরেও ফের এবারের দুর্ঘটনা ঘটে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়।
(Feed Source: abplive.com)