IPL 2022: আইপিএলে লখনউকে তিনে পাঠিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল রাজস্থান রয়্যালসের, কাজ কঠিন হয়ে গেল কাদের?

IPL 2022: আইপিএলে লখনউকে তিনে পাঠিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল রাজস্থান রয়্যালসের, কাজ কঠিন হয়ে গেল কাদের?

ব্যাটিং ডোবাল লখনউকে

জয়ের জন্য ১৭৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লে-র আগেই কুইন্টন ডি কক (৭), আয়ুষ বাদোনি ( ১ বলে ০) ও অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (১০)-এর উইকেট হারায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। তৃতীয় ওভারের প্রথম দুই বলেই ডি কক ও বাদোনিকে ফেরান বোল্ট। রাজস্থান রয়্যালসের বোলিংয়ের প্রশংসা করলেও পাওয়ারপ্লে-তে বেশি উইকেট হারানোতেই ম্যাচ হাতছাড়া হলো বলে মনে করছেন লোকেশ রাহুল। তাঁর কথায়, এই উইকেটে রান তুলে ফেলা উচিত ছিল। কেকেআরকে ৭৫ রানে হারিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষস্থান দখল করলেও নামতে নামতে এখন তিনে লখনউ। শেষ ম্যাচ কেকেআরের বিরুদ্ধে।

হুডা ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ

হুডা ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ

দীপক হুডা ছাড়া কেউ ভরসা দিতেই পারেননি। ৫টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্য ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন হুডা। মার্কাস স্টইনিস ১৭ বলে ২৭ রান করেন। ২৩ বলে ২৫ রান করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। বোল্ট চার ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন ওবেদ ম্য়াককয়। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও পেয়েছেন ২টি উইকেট। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ ওভারে ২৪ রান, যুজবেন্দ্র চাহাল ৪২ রান দিয়ে একটি করে উইকেট দখল করেন। চাহাল এদিন ফের বেগুনি টুপির দখল নিলেন।

তিনে লখনউ, দুইয়ে রাজস্থান

তিনে লখনউ, দুইয়ে রাজস্থান

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৭৮। যশস্বী জয়সওয়াল ২৯ বলে ৪১, দেবদত্ত পাড়িক্কল ১৮ বলে ৩৯ ও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ২৪ বলে ৩২ রান করেন। রবি বিষ্ণোই দুটি এবং আবেশ খান, জেসন হোল্ডার ও আয়ুষ বাদোনি একটি করে উইকেট দখল করেন। আজ জেতার ফলে রাজস্থানের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১৬। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট লখনউয়ের। তবে রাজস্থানের নেট রান এদিন হলো ০.৩০৪, লখনউয়ের ০.২৬২। এই দুই দলই প্লে অফ প্রায় পাকা করে ফেলল। কেকেআরকে হারালে ১৮ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে লখনউ। রাজস্থান সিএসকে হারিয়ে দিলে তারাও ১৮ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে।

১৬ পয়েন্টে যেতে পারে আরও ২টি দল

আইপিএল এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শেষ ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস দুই দলেরই রয়েছে ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। ফলে কোনও একটি দলই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে। কেন না, দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে কাল খেলা, সেই ম্যাচে যে হারবে তারা শেষ ম্যাচ জিতলেও ১৪ পয়েন্টেই শেষ করবে। দিল্লির ম্যাচ বাকি পাঞ্জাব ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ বাকি দিল্লি ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। কলকাতা নাইট রাইডার্স শেষ ম্যাচে লখনউকে হারালে ১৪ পয়েন্টে থাকবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট রয়েছে। তারা শেষ দুটি ম্যাচে জিতলে পৌঁছাবে ১৪ পয়েন্টে। সানরাইজার্সের খেলা বাকি মুম্বই ও পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে।

১৪ পয়েন্টে একাধিক দল থাকলে

আরসিবি যদি শেষ ম্যাচে হারে তাহলে তারা ১৪ পয়েন্টে থাকলেও প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে। কারণ, আরসিবির নেট রান রেট মাইনাস (-) ০.৩২৩। হারলে তা আরও খারাপ জায়গায় চলে যাবে। দিল্লি ও পাঞ্জাব একটি করে ম্যাচ হারলে থামবে ১৪ পয়েন্টে। সানরাইজার্স একটিতে হারলে দৌড় থেকে ছিটকে যাবে, সেক্ষেত্রে তারা একটি ম্যাচে জিতলেও ১২ পয়েন্টের বেশি এগোতে পারবে না। কেন উইলিয়ামসনরা যদি দুটি ম্যাচে জেতেন তাহলেও তাদের বড় বাধা নেট রান রেট (-০.২৭০)। ১৪ পয়েন্টে আরসিবি, কেকেআর, দিল্লি, পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স থাকলে নেট রান রেটের বিচারে একটি দল যাবে প্লে অফে। সেক্ষেত্রে কেকেআরের নেট রান রেট এখন ০.১৬০, দিল্লির ০.২১০ এবং পাঞ্জাবের ০.০২৩।

(Source: oneindia.com)