‘শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক’, হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের

‘শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক’, হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের

একাধিক অভিযোগে রাজ্যের চারটি থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এই আবহে তদন্তে সহযোগিতা করার শর্তে মামলাগুলিতে শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তবে রাজ্য সরকারের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই আবহে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সরকারের তরফে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, আগামী সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

এর আগে আদালত জানিয়েছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নয়া কোনও মামলা দায়ের করতে হলে তার জন্য আদালতের অনুমোদন নিতে হবে। তবে শুভেন্দুকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তবে কুণালের অভিযোগ, একাধিক বার তলব করা হলেও শুভেন্দু থানায় হাজিরা দেননি।

এর টুইট বার্তায় এই নিয়ে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘তমলুক এবং মানিকতলা থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছে হাই কোর্ট। কিন্তু ওই তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছেন না বিরোধী দলনেতা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১এ ধারায় শুভেন্দুকে তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। এই কারণে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।’

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা হয় মানিকতলা থানায়। এদিকে পুলিশ সুপারকে রাজনৈতিক সভা থেকে হুমকি দেওয়ার প্রেক্ষিতে তমলুকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিকে শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষী সুব্রত চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলার এফআইআর-এ অবশ্য শুভেন্দুর নাম ছিল না। যদিও কুণাল ঘোষ আশা ব্যক্ত করেন, সুব্রত চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলারও তদন্ত শুরু হবে শীঘ্রই।