প্রেম অন্তহীন। আরও এক বার সে কথা প্রমাণ করলেন ক্রিস্টি এবং অ্যান্ড্রু। মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত হন ৩৭ বছর বয়সি অ্যান্ড্রু। ঘোর কাটিয়ে যখন সুস্থ হলেন, তখন তাঁর জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। আচ্ছন্ন অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর বিশ্বাস জন্মাল, এখন ১৯৯৩। তিনি ফের বিয়ে করতে চাইলেন স্ত্রীকে।
চলতি বছর জুনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন অ্যান্ড্রু। একটি গাড়ির সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ হয় তাঁর গাড়ির। দুর্ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্রিস্টিও। তাঁর অবশ্য ততটা আঘাত লাগেনি। কিন্তু অ্যান্ড্রুকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য। একাধিক হাড় ভেঙে যাওয়া, শরীরের অভ্যন্তরে রক্তপাত, ফুসফুসে আঘাত, খিঁচুনি-সহ নানা শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি।
তিন দিন পর ফিরে আসে অ্যান্ড্রুর সম্পূর্ণ সংজ্ঞা। এর পর তাঁর এবং পরিবারের নতুন দুঃস্বপ্ন শুরু হল। জীবন থেকে মুছে যায় ২৯ টা বছর। ক্রিস্টি সংবাদমাধ্যমকে জানান, অ্যান্ড্রুর ধারণা হয়, তিনি ১৯৯৩ সালে রয়েছেন। এমনকি, নিজের মেয়ে লোরেলাই এবং অ্যামান্ডাকেও চিনতে পারেননি তিনি। জ্ঞান ফেরার পর লোরেলাইকে ভেবে বসেন হাসপাতালের কর্মী। মেয়েকেই জিজ্ঞাসা করেন, “আমার স্ত্রী কোথায়?”
স্মৃতিভ্রষ্ট অ্যান্ড্রু নিজের স্ত্রীকেই ফের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন। তাঁরা আবার নিজেদের মধ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। কার্যত আবার নিজেদেরই বিয়ে করেন এই দম্পতি। তবে সেটা অ্যান্ড্রু সুস্থ হওয়ার পরই। হাসপাতাল এবং রিহ্যাবে দিন কাটিয়ে তিলে তিলে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ফিরে পান লুপ্ত স্মৃতি। অগাস্টে সপরিবারে যান ছুটি কাটাতে। জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে আবার তাঁরা অঙ্গীকার আদানপ্রদান করেন। ক্রিস্টির মতে, এই ঘটনা দুঃস্বপ্নই। তবে তাঁরা যে ঝড় পেরিয়ে সকলে পাশাপাশি আছেন, সেটাই তাঁর কাছে তৃপ্তিদায়ক।