জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরিয়েল’ হতে চান? একটু আশ্চর্য লাগছে নিশ্চয়ই প্রশ্ন শুনে। হয়তো উত্তর শুনে আরও আশ্চর্য লাগবে। উত্তর হল– মানুষ এখন ঝাঁ-চকচকে শব্দ বা সিন্থেটিক জীবনযাপনের পরিবর্তে সে ঠিক যেমন, তেমনটাই তুলে ধরতে চাইছে। তাই ‘বিরিয়েল'(BeReal)! আর তার এই চাওয়াটার প্রতিফলন পড়ছে তার শব্দব্যবহারেও। সেসব দেখাও যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত শব্দে। কিন্তু সে তো হতেই পারে। তবে সেই বদলটা যখন অক্সফোর্ড ডিকশনারিতেও প্রতিফলিত হয়, তখন বিষয়টা একটু আলাদা গুরুত্ব পেয়ে যায় বৈকি।
জনতার ভোটে ২০২২ সালের অক্সফোর্ড সেরা শব্দ নির্বাচিত হল– ‘গবলিন মোড’। এর অর্থ অনেকটা এ রকম– সমাজের নিয়মকে বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেকে প্রশ্রয় দেওয়া। আলসেমি, অপরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি যা কিছু সমাজের চোখে সাধারণত বদভ্যাস সেই সবই নিজে আচরণ করা। এবং সেজন্য মনে কোনও খারাপ অনুভূতি না রাখা।
শব্দবাছাইয়ের প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উঠে এসেছিল তিনটি শব্দ। পরে ওই তিনটি শব্দের মধ্যে জনতার ভোটে সেরা নির্বাচিত হয় ‘গবলিন মোড’। ভোটাভুটিতে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ‘মেটাভার্স’। তৃতীয় স্থানে ‘#আইস্ট্যান্ডউইথ’। ভোটের ৯৩ শতাংশই নিজের ঝুলিতে পুরতে পরেছে ‘গবলিন মোড’ শব্দটি। ৩,১৮,৯৫৬ জন শব্দটিকে সেরার মুকুট পরিয়েছে। মেটাভার্স পেয়েছে ১৪,৪৮৪ জনের ভোট, #আইস্ট্যান্ডইউথ পেয়েছে ৮,৬৩৯ ভোট।
‘অক্সফোর্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’-এর প্রেসিডেন্ট ক্যাসপার গ্রাথওহল বিস্মিত হয়ে বলেছেন– সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই সকলের ঝাঁ চকচকে ছবি দেখা যায়। আর গবলিন মোড শব্দটা এখানেই ব্যতিক্রমী। সোশ্যাল প্লাটফর্মে নিজেদের সাজানো-গোছানো ছবি তুলে ধরলেও মানুষ এখন সব সময়ে শুধু সেরকমটাই করতে চাইছেন না। বরং তাঁদের অনেকেই স্বাভাবিকতাকে পছন্দ করছেন। তাই ‘বিরিয়েল’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ইন্টারনেটে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। সেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের এডিট না করা ছবি পোস্ট করছেন। দিচ্ছেন নোংরা অপরিচ্ছন্ন ঘরের ছবি বা নিজের ল্যাদ খাওয়ার ছবি অর্থাৎ, যা ‘গবলিন মোড’-কে চিহ্নিত করে! এর মানে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে। সব মিলিয়ে নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া, যা-ইচ্ছে-তাই করার স্বাধীনতা ঘোষণা করা।
(Feed Source: zeenews.com)