নিখুঁত সৌন্দর্য চান! ঝকঝকে ত্বকের রহস্য লুকিয়ে এই পাঁচ অভ্যাসে!

নিখুঁত সৌন্দর্য চান! ঝকঝকে ত্বকের রহস্য লুকিয়ে এই পাঁচ অভ্যাসে!

সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই দারুন সুন্দরী। চকচকে চুল আর ঝকঝকে ত্বক নিয়ে সকলেই অপরূপা। কিন্তু বাস্তবটা হয় তো সকলের ক্ষেত্রে এমন নয়। আধুনিক ক্যামেরার কারিগরিতে হয়তো ত্বকের খুঁত ঢেকে দেওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু আয়নার কাছে ফাঁকি দেওয়া মুশকিল।

অথচ, পৃথিবীতে এমন মানুষেরও অভাব নেই যাঁরা সত্যিই  সুন্দর ত্বকের মালিক। এর পিছনে কোনও রহস্য নেই, নেই কোনও অলৌকিক ঘটনাও। বরং যা রয়েছে তা হল যত্ন। বছরের যে কোনও সময়ে বিশেষ করে শীতকালে, সতেজ এবং চমৎকার ত্বকের রহস্য যত্ন, যা নিরন্তর প্রচেষ্টার ফল। সেই সঙ্গে থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনচর্যা। ত্বকের যত্ন এবং জীবনধারার পরিবর্তন আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারে কয়েকগুণ।

ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। এতে ত্বক সুস্থ এবং সতেজ বোধ করে। কী ভাবে তা সম্ভব, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—

ত্বক পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ

রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ত্বক পরিষ্কার করা খুবই জরুর। এটি ত্বককে সতেজ করে এবং এটি গভীর ভাবে পরিষ্কার করে। ত্বক শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পায়। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করলে একটি পার্থক্য সহজেই চোখে পড়তে পারে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি ফেসিয়াল ক্লিনজার ত্বক থেকে সমস্ত ধরণের দূষক দূর করে, ত্বকের রোমকূপগুলি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তার ফলে ব্রণ ফুসকুড়ির মতো সমস্যা সমাধান হতে পারে অনেকটাই। ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ডিহাইড্রেশন এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, অকাল বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

পাশাপাশি সানস্ক্রিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ত্বকের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন সানস্ক্রিন করা উচিত। এটি আমাদের ত্বককে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে। এমনকী কোনও বর্ষণ মুখর বা মেঘলা দিনেও অতিবেগুনি রশ্মির ঝুঁকি থাকে। শীত কালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দরকার। এই ক্ষতিকারক রশ্মি মেঘ, বৃষ্টি এবং কুয়াশার মধ্য দিয়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

সুষম খাদ্য গ্রহণ

একটি সুষম খাদ্য যে কোনও মানুষের শরীরে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং পুষ্টি জোগায়। এতে শরীর ও মন সুস্থ থাকতে পারে। যা পরোক্ষে একটি সুখী এবং উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য। ত্বকের যত্নের জন্য নিজের পছন্দের স্কিনকেয়ার পণ্য বেছে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে, সুষম খাদ্য সুন্দর ত্বকের অন্যতম কারণ।

ধূমপান বর্জন

ধূমপানের ফলে ত্বকে অক্সিজেন এবং পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তার ফলে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং ত্বকের রঙে ভারসাম্যের অভাব হতে পারে। প্রত্যেক মানুষেরই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে বলিরেখা তৈরি হয়, কিন্তু এটা দেখা গিয়েছে যে ধূমপায়ীদের অল্প বয়সেই বলিরেখা তৈরি হওয়ার প্রবণতা থাকে। ধূমপান আমাদের ত্বককে ডিহাইড্রেট করে থাকে, যার ফলে ত্বক নিস্তেজ এবং অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুম সার্বিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব জরুরি। আমরা যখনই সম্পূর্ণ বিশ্রাম করি তখনই আমাদের ত্বকে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। তার ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল বৃদ্ধি পায়। ঘুম এড়িয়ে যাওয়া বা ঘুমের অভাব আমাদের ত্বককে প্রাণহীন করে তুলতে পারে। ঘুমের অভাবে আমাদের মুখের চারপাশের ত্বকে রক্ত চলাচল কমে যায়। স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম অত্যাবশ্যক।

জল পানের গুরুত্ব

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করাও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। পরিমাণ মতো জল পান না করলে আমাদের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পেতে পারে, ত্বক রুক্ষ বোধ হতে পারে। পর্যাপ্ত জল পান করার বিষয়টি ত্বকের যে কোনও সমস্যার সর্বোত্তম সমাধান হিসেবে দেখা হয়। জল পানের ফলে আমাদের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, আমাদের ত্বক স্বাস্থ্যকর দেখায়। ত্বকে উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করলে ত্বকের হাইড্রেশন হয় এবং চেহারার উপর তা দারুণ প্রভাব ফেলে।

আসলে ত্বকের সৌন্দর্য নির্ভর করে শরীরের অভ্যন্তরীর সুস্থতার উপর। সুন্দর, উজ্জ্বল ত্বক সুস্বাস্থ্যেরই প্রতিফলন। সঠিক জীবনচর্যা এবং ত্বকের যত্নের মাধ্যমেই তা অর্জন করা যেতে পারে।

(Feed Source: news18.com)