শনিবারের বৈঠকে সম্ভবত শাহকে এড়িয়ে যেতে পারেন নীতীশ কুমার, বদলে থাকবেন তেজস্বী

শনিবারের বৈঠকে সম্ভবত শাহকে এড়িয়ে যেতে পারেন নীতীশ কুমার, বদলে থাকবেন তেজস্বী

#কলকাতা: খুব সম্ভবত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখোমুখি হচ্ছেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। অন্তত প্রশাসনিক মহলে তেমনটাই জল্পনা। নবান্ন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছাচ্ছেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আগামীকাল ইস্টার্ন সিকিউরিটির জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন।

বিহারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জেরেই কি অমিত শাহকে এড়িয়ে যেতে চাইছেন নীতীশ কুমার, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। বিহারের পাশাপাশি উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলিরও মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা শনিবারের বৈঠকে। উপস্থিত থাকার কথা সিকিমেরও। আগামীকাল সকালের মধ্যেই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা কলকাতা এসে পৌঁছাবেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ইস্টার্ন সিকিউরিটি জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই দুজনের মুখোমুখি বৈঠকে সম্ভাবনা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে নবান্ন এর শীর্ষ মহল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে বেশ কিছু দাবিপত্র তুলে দিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। যদিও ইস্টার্ন সিকিউরিটি জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা করে বলার জায়গা থাকছে। বৈঠকের পরে কিছু সময় পৃথকভাবে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

অন্যদিকে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে রাজ্যকে ইতিমধ্যেই বলেছে কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদিকে এই কথা জানান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়েই এই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। ২৫৭ কিলোমিটার জুড়ে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ১৮৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জমি মিললেও ৭০ কিলোমিটারের কাজে এগোচ্ছে না জমি অমিল থাকায়। রাজ্যকেই এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে।

নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়েই এই বৈঠক। ভারত- বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হোক, তার উপরও কেন্দ্রের তরফে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আগামী মার্চের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজটি শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।এছাড়া ওই বৈঠকে সীমান্তে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি রুখতে বিএসএফের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়েও কথা হয়।

(Feed Source: news18.com)