১১ ধর্ষকের মুক্তির নির্দেশ পুনর্বিবেচনা নয়, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন বিলকিস

১১ ধর্ষকের মুক্তির নির্দেশ পুনর্বিবেচনা নয়, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন বিলকিস

#দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন বিলকিস বানো। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা তাঁকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনের মুক্তির নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি মামলা দায়ের করেছিলেন বিলকিস। তার মধ্য়ে একটি মামলা আজ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় বিলকিসের পরিবারের সাত সদস্য়কে খুন করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁকে গণধর্ষণও করা হয়।

গত মে মাসে বিলকিস গণধর্ষণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত এগারো জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য় গুজরাত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশকেই পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিলেন বিলকিস। এই আবেদনই আজ শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। যদিও যে যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়, সেগুলিকে চ্য়ালেঞ্জ করে দায়ের করা বিলকিসের আবেদনের উপরে সুপ্রিম কোর্টের আজকের নির্দেশের কোনও প্রভাব পড়বে না।

গত ১৫ অগাস্ট বিলকিসকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জন জেল থেকে মুক্তি পান। বন্দি অবস্থায় ভাল ব্য়বহারের জন্য়ই আগেভাগে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের। কেন্দ্রীয় সরকারও গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তে অনমোদন দেয়।

সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২০০৪ সালে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া গুজরাত থেকে মহারাষ্ট্রে সরে যায়।মহারাষ্ট্রের আদালতেই তাঁকে গণধর্ষণের মামলার বিচার চলেছে। ফলে সেই বিচার প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গুজরাত সরকার গ্রহণ করতে পারে না বলেই সুপ্রিম কোর্টে করা আর্জিতে যুক্তি দিয়েছিলেন বিলকিস বানোর আইনজীবী।

বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্য়ে একজনের মেয়ে আবার এবার গুজরাত বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে প্রার্থী হয়ে বিধায়কও হয়ে গিয়েছেন।

(Feed Source: news18.com)