কলেজে ছাত্রী সেজে লেডি কনস্টেবল, হাতেনাতে ধরলেন র‍্যগিং চক্র

কলেজে ছাত্রী সেজে লেডি কনস্টেবল, হাতেনাতে ধরলেন র‍্যগিং চক্র

#ইনদওর: ছাত্রীর ছদ্মবেশে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছলেন এক মহিলী পুলিশকর্মী৷ এমনভাবে সকলের সঙ্গে মিশে গেলেন যে কারও কোনও সন্দেহই হল না৷ কেউ বুঝতেই পারল না যে তিনি এক পুলিশ কনস্টেবল৷ একজন কলেজ পড়ুয়া হিসেবে গোপনে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন এই লেডি কনস্টেবল৷ এবং তার হাতেই ধরা পড়ে বহুদিন ধরে চলতে থাকা কলেজের ragging-র বিষয়টি৷

ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের৷ খুবই নামজাদা গান্ধি মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে চলছিল ragging-র মতো জঘন্য কাণ্ড৷ খবর আসলেও, প্রমাণ সহ হাতে নাতে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না অভিযুক্তদের৷

থানার ইনজার্চ তেহজিব কাজী জানিয়েছেন যে কলেজের এক ছাত্র ইউজিসিতে ragging-র অভিযোগ করেছিলেন৷ এরপর ২৪ জুলাই সেই ছাত্রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ ছাত্রটি ইউজিসি হেল্পলাইনে ragging-র অভিযোগ জানালেও, নির্দিষ্টভাবে কোনও ছাত্র বা কোনও গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেননি৷ শুধুমাত্র একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে ধরা হয়েছিল৷ কতজন এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেটাও সঠিখভাবে উল্লেখ করা হয়নি৷

ইন্সপেক্টর তেহজিব কাজীর জানান যে এই সব তথ্য সামনে আসার পরই কনস্টেবল শালিনী চৌহানকে নার্সিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সাজিয়ে কলেজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ একেবারে আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে পুলিশ শালিনী চৌহান এই পুরো অপরেশনটি করেন এবং তাতে সাফল্য আসে৷

অনেক ক্ষেত্রে কলেজ পড়ুয়াদের সন্দেহ হলেও শালিনী বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলে নেন৷ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভান্ত করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে নেন৷ এবং সকল বিশ্বাসও করে নেন যে তিনি কলেজ ছাত্রী৷ এভাবেই তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সকলের থেকে তুলে আনতে থাকেন শালিনী৷ একে একে ragging-এর মতো অপরাধে জড়িতদের চিনতে শুরু করেন শালিনী৷

তদন্তে জানা যায় যে ragging-এ জড়িত সিনিয়ার ছাত্ররা৷ তারাই জুনিয়ারদের অশ্লীল কাজ করতে বাধ্য করত৷ এই অপরাধে ১১জন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে৷ এই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ ৩ মাসের জন্য কলেজ থেকে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷

প্রায় ২ মাস ছাত্রী সেজে কলেজে ছিলেন শালিনী৷ এই সময় তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে তাদের সঙ্গে ক্যান্টিনে সময় কাটানো থেকে শুরু করে সকলের উপর নজর রাখতেন৷ তিনি জানিয়েছেন যে সিনিয়ান ছাত্রদের ব্যবহার ছিল আক্রমণাত্মক৷ সবধরনের তথ্য জোগাড় করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের কাছে রিপোর্ট জমা দেন শালিনী৷ এবং ধরে ফেলেন মহত্মা গান্ধি মেডিক্যাল কলেজের ragging চক্র৷

(Feed Source: news18.com)