বৃদ্ধের পায়ুছিদ্রে আটকে বিশ্বযুদ্ধের বোমা! বিস্ফোরণের ভয়ে ফাঁকা হাসপাতাল

বৃদ্ধের পায়ুছিদ্রে আটকে বিশ্বযুদ্ধের বোমা! বিস্ফোরণের ভয়ে ফাঁকা হাসপাতাল

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই বিশ্বে কত কী না হয়! তার কিছুটা থাকে জানা, কিছুটা অজানা। এবার তেমনই একটি ঘটনা জানা গেল। যা জানতে পেরে কী প্রতিক্রিয়া দেবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে নেটপাড়া। সম্প্রতি এমনই মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে এক ফরাসি হাসপাতাল। সেখানে অশীতিপর বৃদ্ধ আসেন তাঁর পায়ু ছিদ্র থেকে বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি বোমা বের করার জন্য। যা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয় হাসপাতালেও। ওই বোমার যদি কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয় এই ভেবে মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যায় হাসপাতাল।

শনিবার দক্ষিণ ফ্রান্সের সেইন্ট মুস হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটে। ফরাসি সংবাদপত্র ভঁ-মার্তি এ এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ ৮৮ বছরের ওই বৃদ্ধের রেক্টামে ৮ ইঞ্চির একটি আর্টিলারি সেল আটকে রয়েছে দেখ যায় এমনটাই। ফরাসি সংবাদসংস্থাকে ওই হাসপাতালের কর্মী বলেন, “আপেল, আম এমনকী শেভিং ফোমের কৌটোও পাওয়া যায় রেক্টামে। যা সাধারণত দেখা যায় না। তাই বলে রেক্টামে একটি শেল? এমনটাও সম্ভব!”

বোমার খবর ছড়াতেই হাসপাতালজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি বুঝতে বোম বিশেষজ্ঞদেরও ডাকা হয় হাসপাতালে। তারা জানায় যে এই বোমাটি থেকে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যদিও পরে জানা যায় যে বৃদ্ধ ওই আর্টিলারি শেলটি তাঁর যৌন অভিপ্রায় মেটানোর জন্যই করেছিলেন। হাসপাতালের মুখপাত্র বলেন, “রাত ৯টা থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত এমারজেন্সি অবস্থা তৈরি হয়। বিস্ফোরণের সামান্যতমও সম্ভাবনা থাকার জন্য বয়স্ক এবং শিশু বিভাগের রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আমরা সবভাবে বিপদ আটকানোর চেষ্টা করে গেছিলাম। যাতে সব সমস্যা এড়ানো যায়।”

জানা গিয়েছে, এই বোমাটি আদতে একটি কালেক্টর আইটেম ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন এই বোমার ব্যবহার ছিল। ১৯৯০ সালে ফরাসিরা সেনারা এই ধরনের আর্টিলারি শেলগুলি ব্যবহার করতেন। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, তারা অত্যন্ত সতর্কভাবে পায়ু থেকে এই বোমটি অস্ত্রোপচার করে বের করেন। যদিও খুব কষ্টসাধ্য ছিল গোটা অপারেশনটি।

(Feed Source: zeenews.com)