ভারতে করোনা আবার ভয়াবহ হবে? বছর শেষের আনন্দ, বেড়ানো মাটি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

ভারতে করোনা আবার ভয়াবহ হবে? বছর শেষের আনন্দ, বেড়ানো মাটি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

চিনের নতুন করোনাভাইরাস ওমিক্রন BF.7 নতুন করে ভয় দেখাতে শুরু করেছে। বছরের এই সময়টিতে অনেকেই বেড়াতে যান। অনেকেই ছুটির মেজাজে থাকেন। সেই পুরো আনন্দই কি মাটি হতে চলেছে করোনার কারণে? এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভারতের নামজাদা ভাইরোলজিস্ট বা সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ গগনদীপ ক্যাং।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে লেখেন চিকিৎসক। তাঁর কথায় চিনে পরিস্থিতি মোটেই সুবিধার নয়। বরং সেখানে পরিস্থিতি উদ্বেগজনকই হতে চলেছে। কিন্তু ভারতে? কী বলছেন তিনি? পর পর দেখে নেওয়া যাক।

চিনে পরিস্থিতি কেন উদ্বেগজনক?

গগনদীপ ক্যাংয়ের কথায়, আগামী দিনে, বিশেষ করে শীতের মরশুমে চিনে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে চলেছে। তার কারণ, চিনে ব্যবহার করা টিকার কার্যক্ষমতা খুব ভালো নয়। পরিসংখ্যান বলছে, বহু ক্ষেত্রেই চিনে ব্যবহার হওয়া টিকা সফলভাবে কাজ করতে পারেনি। তার উপর চিনে স্বাভাবিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও ভালো ভাবে তৈরি হয়নি। কড় লকডাউন থাকার ফলে চিনে মানুষের নতুন করোনায় সংক্রমণও তুলনায় কম হয়েছে। ফলে সেখানে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়নি। তার উপর শীত বাড়লে, অন্য ধরনের সংক্রমণও বাড়বে। তার সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি মিশে গিয়ে গোটাটাই খুব উদ্বেগজনক হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।

নতুন উপরূপটি ভারতে কেমন প্রভাব ফেলবে?

গগনদীপ ক্যাংয়ের বক্তব্য, এই যে ওমিক্রন BF.7 নিয়ে এতটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটি ভারতে মোটেও নতুন কিছু নয়। বরং এটি ভারতে এটি এবং সঙ্গে XBB নামের উপরূপ অনেক দিন ধরেই রয়েছে। ফলে এগুলির রোগ প্রতিরোধ শক্তিও অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।

ভারতে বেড়ানোর উপর বিধিনিষেধ পড়তে পারে কি?

বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, এখনও পরিস্থিতি তেমন খারাপ হয়নি যে, ঘুরে বেড়ানোর উপর বিধিনিষেধ বসতে পারে। ঝুঁকির প্রশ্ন সব সময়েই থেকে যায়। ফলে সেই ঝুঁকি কে নেবেন, আর কে নেবেন না, সেটি তাঁদের ব্যাপার। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।

কী কী মনে রাখতে হবে?

চিকিৎসক এই পরিস্থিতিতে সচেতনতার কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, যাঁরা খুব স্বাস্থ্যবান, তাঁদের ক্ষেত্রে মাস্ক যে আলাদা করে কোনও সুবিধা দেবে তেমন নয়। তাঁর কথায়, যদি কারও শ্বাসের সমস্যা বা সংক্রমণ থাকে, তাহলে বাড়িতেই থাকুন এই সময়ে। যদি বেরোতে হয়, তাহলে মাস্ক পরেই বেরোন। কারণ মাস্ক এই সময়ে খুবই কাজের হয়ে উঠতে পারে। নিজেকে এভং অন্যকে সুস্থ রাখার জন্য এটিই সবচেয়ে ভালো রাস্তা।