ব্রুসোলোসিসে মৃত্যু বলছে পরিবার, প্রমাণ মেলেনি, বলছে হাসপাতাল

ব্রুসোলোসিসে মৃত্যু বলছে পরিবার, প্রমাণ মেলেনি, বলছে হাসপাতাল

করোনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ব্রুসোলোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে মৃত ব্যক্তির পরিবার। মৃতের নাম শরবিন্দু ঘোষ (৫৩)। কলকাতার স্কুল অফ ট্রাফিক্যাল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। যদিও তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ব্রুসোলোসিসের কথা উল্লেখ নেই। তাতে লেখা রয়েছে রিউম্যাটিক আর্থারাইটিসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রের খবর, তিনি দুর্গাপুজোর সময় থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া শুরু হয়। ডায়রিয়ার পর পায়ের পাতায় ব্যথা শুরু হয়। ক্রমেই সেই ব্যাথা বাড়তে থাকলে তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরীক্ষায় ব্রুসোলোসিস ধরা পড়ে। কিন্তু চিকিৎসা খরচ বহন করতে না পারায় তাঁকে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। পরে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ দিন আগে তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। অবশেষে শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের দাবি, তিনবার তাঁর পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু, ব্রুসোলোসিস ধরা পড়েনি। তবে মৃতের ছেলের দাবি, তাদের বাড়িতে গবাদিপশু রয়েছে। যার মধ্যে একটি বাছুরের পা ফুলে ছিল। এরপর গবাদি পশুগুলিকে ব্রুসোলোসিসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কোনওভাবে গবাদি পশু থেকেই ব্রুসোলোসিসে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মৃতের ছেলে সুজয় ঘোষ।