#আগরতলা: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ত্রিপুরার সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশন প্রাপকদের জন্য় ১২ শতাংশ হারে ডিএ/ডিআর বৃদ্ধি ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার। এ দিন এই ঘোষণা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে মোট তিন দফায় ২০ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করল ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। ১ ডিসেম্বর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে মোট ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬০০ রাজ্য় সরকারি কর্মী এবং ৮০ হাজার ৮০০ পেনশন ভোগী উপকৃত হবেন। মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহার আরও দাবি, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতনও প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে।
যদিও ত্রিপুরা সরকারের এই ঘোষণাকে নির্বাচনী চমক বলেই কটাক্ষ করেছে বিরোধী বামফ্রন্ট এবং তৃণমূলের মতো দলগুলি। তাদের দাবি, ডিএ বাড়িয়েও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে পারবে না মানিক সাহার সরকার।
মানিক সাহা জানিয়েছেন, ডিএ বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রতি মাসে রাজ্য় সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। বছরে যে খরচ দাঁড়াবে ১৪৪০ কোটি টাকা। এই খরচের সংস্থান কোথা থেকে হবে, তার অবশ্য় সুস্পষ্ট জবাব দেননি ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা অথবা তাঁর ডেপুটি এবং রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা।
মানিক সাহা বলেন, ‘টাকার জোগান না থাকলেও খরচ সামাল দেওয়াটাও এক ধরনের দক্ষতা। একটু সাহস এবং উদারতা থাকলে মানুষকে সর্বাধিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব। আমরা এ ভাবেই বিষয়টি দেখছি।’ যদিও নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই ডিএ বৃদ্ধি করা হল বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী।
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ডিএ নিয়ে নিঃসন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপরে চাপ আরও বাড়ল। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা যে ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঢাল করবেন, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন বীরভূমের নলহাটির সভা থেকেই ত্রিপুরা সরকারের ডিএ বৃদ্ধির বিষয়টি জানান তিনি। বর্তমানে ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সেই চাপ আরও বাড়ল। কারণ ত্রিপুরায় এবার বিধানসভা নির্বাচনেও কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল।