#বর্ধমান: কালনায় করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরস্বতী পুজোর আয়োজনের পরামর্শ দিল প্রশাসন। সরস্বতী পুজোই কালনার সব থেকে বড় উৎসব। এ’বার ২৬ জানুয়ারি থেকে সে উৎসব শুরু হতে চলেছে। কিন্তু তার আগে করোনা ঘিরে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে। এখনো এ’রাজ্যে করোনার সংক্রমণ দেখা না দিলেও তার ঢেউ যে-কোনও মুহূর্তে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে।
শুক্রবার কালনা থানার উদ্যোগে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ক্লাবের কর্মকর্তারা, এসডিপিও (কালনা) সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য, কালনা থানার ওসি দেবাশিস নাগ, বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ, কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত, উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল-সহ কয়েক জন কাউন্সিলর এবং সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেই পুজোর উদ্যোক্তাদের করণা সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এসডিপিও জানান, করোনা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে উৎসবের প্রস্তুতি নিতে হবে। পুজোর আগে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা এলে বৈঠক করে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ফেরিঘাটে নিরাপত্তার বিষয়টিও নজরে রাখতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, উৎসবের সময় শহরের নানা জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে। মোটর বাইকে টহল দেবে দমকল কর্মীরা। দুর্ঘটনা এড়াতে ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যেই সারতে হবে বিসর্জন-পর্ব। নিকাশি নালাগুলি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা দেখে নেবে পুরসভা।
এছাড়াও পুজোর আগে ক্লাব কর্তাদের নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। সমস্যা হলে ওই গ্রুপে জানাতে পারবেন তাঁরা। মণ্ডপগুলিতে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে বৈঠকে। মণ্ডপের প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ চওড়া করতে হবে। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু পুজো মণ্ডপের কাছেই মেলা হয়। আগুন লাগলে নেভানোয় সমস্যা হতে পারে। তাই মণ্ডপের ১০০ মিটারের মধ্যে মেলার কোনও দোকান রাখা যাবে না। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য ক্লাব কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। উৎসবের দিনগুলিতে টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।