Accident: বছরের প্রথম দিনে নিউটাউনে আলিয়ার ছাত্রকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি, অবরোধ

Accident: বছরের প্রথম দিনে নিউটাউনে আলিয়ার ছাত্রকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি, অবরোধ

বছরের প্রথম দিনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কলকাতার নিউটাউনে। নিউটাউনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। ১লা জানুয়ারি সন্ধ্যায় বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিল তাকে। অন্যান্য় পড়ুয়াদের দাবি, প্রায় ১৫ মিনিট তিনি রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। তখনও পুলিশ আসেনি। এরপর পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের নাম শাকিল আহম্মদ। তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোর বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বিকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই সার্ভিস রোড ধরে হাঁটছিলেন। তিনি বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে মেসে ফেরার জন্য ইকোস্পেসের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই কমদপুকুর মোড়ের দিক থেকে একটি গাড়ি বেপরোয়াভাবে চলে আসে। এরপরই তাকে ধাক্কা মেরে চম্পট দেয় গাড়িটি। এদিকে সার্ভিস রোডের পাশেই ছিটকে পড়েন তিনি। রক্তে ভেসে যায় এলাকা। মাথা ফেটে চৌচির হয়ে যায়।

তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। গোটা ঘটনায় সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা ও চালককে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় অবরোধ শুরু হয়। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। একেবারে ব্যর্থ পুলিশ। একটা গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল। সেই গাড়িকেও ধরতে পারল না পুলিশ। সেই গাড়িকে ধরতে না পারলে অবরোধ চলবে।

তাদের দাবি, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলছে। পুলিশ কোনও ব্য়বস্থা নিচ্ছে না। আমাদের ধারনা মদ খেয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ফূর্তি করা হচ্ছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।তদন্তে নেমেছে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। অন্যদিকে বর্ষবরণের রাতে কলকাতায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে ধাক্কা মেরেছিল একটি বেপরোয়া গাড়ি। ওই ট্রাফিক পুলিশ জখম হয়েছিলেন। তার রেশ কাটার আগেই এবার নিউ টাউনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

এদিকে বাসিন্দাদের দাবি, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো হচ্ছে। পুলিশের চোখের সামনে এসব হচ্ছে। পুলিশ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করেও কিছু করতে পারছে না। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, পুলিশ সতর্ক না হলে আবার একই ঘটনা হবে। অবিলম্বে এখানে ট্রাফিকের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিন গাড়িটি পুলিশের ব্যারিকেডও ভেঙে দেয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাতক গাড়ির খোঁজে তল্লাশি চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তল্লাশি চলছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।