পাকিস্তানের নববর্ষ উদযাপনে গুলি, ২২ জন আহত

পাকিস্তানের নববর্ষ উদযাপনে গুলি, ২২ জন আহত

পাকিস্তানি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জিও টিভি জানায়, করাচির বিভিন্ন স্থানে বিমান গুলিতে শিশু ও নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে শহরে অস্ত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

হাসপাতালগুলোর সূত্র জানায়, আহত আটজনকে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আহত চারজনকে জিন্নাহ হাসপাতালে এবং নারী ও শিশুসহ ১০ জনকে আব্বাসী শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কোরাঙ্গিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউজ চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, নতুন বছর উদযাপন করতে রাস্তায় জড়ো হয়েছেন করাচির মানুষ। সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরিও আতশবাজি দেখতে লোকজনের সঙ্গে নুমাইশ চৌরঙ্গি এলাকায় পৌঁছেছেন।

লাহোর, ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডি থেকেও অনুরূপ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে। লাহোর থেকেও আহতদের খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানে নববর্ষ উদযাপন বিতর্কিত হয়েছে। ধর্মীয় নেতারা বলছেন, নতুন বছর উদযাপন করা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুকরণ করা ‘পাপ’।

যাইহোক, বছরের পর বছর ধরে এই বার্ষিক ইভেন্টটি উদযাপন করার জন্য রাস্তায় ভিড় করা লোকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং পাকিস্তানের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বে শান্তি কামনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আশা প্রকাশ করেন, ২০২৩ সাল পাকিস্তানসহ গোটা বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, যুদ্ধ, সন্ত্রাস, অপরাধ, সাম্প্রদায়িকতা ও শ্রেণী বিভাজনের অবসানের বছর হিসেবে প্রমাণিত হবে।

(এই খবরটি এনডিটিভি দল সম্পাদনা করেনি। এটি সরাসরি সিন্ডিকেট ফিড থেকে প্রকাশিত হয়েছে।)