সাংবাদিকের ছদ্মবেশে এটিএম থেকে টাকা চুরি!

সাংবাদিকের ছদ্মবেশে এটিএম থেকে টাকা চুরি!

#হুগলি: সাংবাদিকের ছদ্মবেশে এটিএম থেকে টাকা চুরির কারবার চলছিল বছর দুয়েক ধরে। প্রেস লেখা গাড়ি করে ঘুরে বেড়াত প্রতারক। তবে শেষ রক্ষা হল না। হুগলির দাদপুর থানার পুলিশ শেষ পর্যন্ত ধরে ফেলল ভূগোলে স্নাতক প্রতারক সুব্রত গিরিকে।

আদতে পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়ি সুব্রত গিরির। জানা গিয়েছে এটিএম-এ টাকা তুলতে আসা বয়স্কদের সাহায্যের অছিলায় লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করত এই অভিযুক্ত যুবক। আর যাতে তাকে পুলিশের সন্দেহ না হয় তাই প্রেস লেখা গাড়ি এবং প্রেসকার্ড নিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতো সে।

সুব্রত গিরির দামি গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগানো থাকত সবসময়। সঙ্গে থাকত কার পাস। ফলে পুলিশেরও এতদিন এই গুণধরকে সন্দেহ হয়নি। এইভাবেই নিশ্চিন্তে প্রতারনার কারবার চালিয়ে আসছিল এই হাইটেক প্রতারক।

সোমবার দাদপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে সুব্রত গিরির প্রতারণার বিষয়ে বিস্তারিত জানান হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি নিমাই চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর হারিট বাজারে ডিউটিতে ছিলেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। বাজারে দুটি এটিএম বুথ আছে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ একটি কালো রঙের থর গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির চালক মাঝে মধ্যে‌ই এটিএম-এ ঢুকছিল এবং আবার বাইরে বেরিয়ে এসে গাড়িতে বসে পড়ছিল। বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটার পর সন্দেহ হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের। সে দাদপুর থানার ওসি প্রশান্ত ঘোষকে ফোন করে বিষয়টি জানায়।

ওসি সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে হারিট বাজারে পৌঁছে যান।পুলিশ দেখেই পালানোর চেষ্টা করে থর গাড়িটি। তাকে ধাওয়া করে পুইনান বাজারের কাছে ধরে ফেলে দাদপুর থানার পুলিশ। ধৃত সুব্রত গিরির কাছ থেকে পাওয়া যায় মাহিন্দ্রা থর গাড়ি, ১৯০ টি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, তিনটি আইফোন, সোয়াইপ মেশিন, প্রেস কার্ড ইত্যাদি।

পুলিশ ধৃতকে জেরা করে জানতে পারে, আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায় থাকে। ভুগোলে স্নাতক।তবে প্রমোটিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে গত দু’বছর ধরে এই প্রতারণাকেই মূল পেশা করেছে সুব্রত গিরি।

(Feed Source: news18.com)