জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘটনাস্থল ইরানের কারাজ। সেখানে কারাগারের বাইরে প্রতিবাদীদের বিক্ষোভের আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলছে! কেন আগুন? মাশা আমিনি কাণ্ডে প্রতিবাদ করে ‘অপরাধ’ করেছেন তাঁরা! কী অপরাধ? হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত তিন জনকে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান আদালত। তিন জনেরই অপরাধ, আন্দোলন চলাকালীন তারা নিরাপত্তা বাহিনীর তিন কর্মীকে খুন করেছে।
ঠিক ভাবে হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ গ্রেফতার হন মাশা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিসি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু কঠোর ভাবে বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করে ইরান সরকার। বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্য ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। এবার আরও তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। প্রায় সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, তাঁরা বাহিনীর উপরে হামলা চালিয়েছেন! যদিও চার্জশিটে উল্লেখ, তাঁরা ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন! যার সাজা প্রাণদণ্ড। এ নিয়ে ইরানে গত তিন মাসে ১৭ জনকে প্রাণদণ্ডের সাজা শোনানো হল। এর মধ্যে চার জনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। দু’জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে।
কিন্তু এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে একটা ছবি সকলের নজর কেড়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মহম্মদ ঘোবাদলৌ’র মা তাঁর ছেলের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কারাগারের বাইরে। শুধু নিজের ছেলে নয়, আরও এক তরুণের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
এর আগে, শনিবার মহম্মদ মেহদি কারামি এবং সইদ মহম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অপরাধ– নভেম্বরে তেহরানের পশ্চিমে কারাজে আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে খুন করেন তাঁরা। মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহনাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকে ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। দু’জনে দু’টি পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। হিজাব-বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সারা বিশ্ব।
(Feed Source: zeenews.com)