ইউক্রেন সেনার দেহে বিস্ফোরক তাজা বোমা , কীভাবে চলল অস্ত্রোপচার?

ইউক্রেন সেনার দেহে বিস্ফোরক তাজা বোমা , কীভাবে চলল অস্ত্রোপচার?

বিস্ফোরক গ্রেনেড শরীরের ভিতরে। যেকোনও মুহূর্তে ফেটে মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে সেটি। তবুও প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই শেষ পর্যন্ত অস্ত্রপচার করা হল। নিরাপদেই বার করে আনা হল অবিষ্ফারিত গ্রেনেড। সার্জেন মেজর জেনারেল অ্যান্ড্রি ভার্বার নিপুণ দক্ষতায় অবশেষে উদ্ধার করা গেল গ্রেনেডটি।

সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে এমন ঘটনাই ঘটেছে। যুদ্ধ চলাকালীন ইউক্রেনের এক সৈন্যের শরীরে বিষ্ফোরক গ্রেনেড ঢুকে যায়। যেকোনও মুহূর্তে ফেটে ভয়াবহ বিপদ ঘটতে পারত। নির্দিষ্ট সৈন্যের সঙ্গে মৃত্যু হতে পারত আশেপাশের সৈন্যদের। তবে, শেষ পর্যন্ত ফাটার আগেই তা বার করে আনা হয়। একরকম প্রাণএর ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রপচার করেন মেজর জেনারেল অ্যান্ড্রি ভার্বা। অস্ত্রপচারের সময় সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সহযোদ্ধা। সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই তাদের ওটিতে থাকা অনুমতি দেওয়া হয়। এদিন ইউক্রেনের বাখমুট নিয়ন্ত্রণ দখল করা নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনির সঙ্গে তীব্র যুদ্ধ চলছিল। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। অস্ত্রপচারের আগে জনৈক সৈন্যের একটি স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, ডানদিকের ফুসফুসের নিচে রয়েছে গ্রেনেডটি। এদিন অস্ত্রপচারের করার একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছডিয়ে পড়ে। তাতেই দেখা যায়, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রপচার করছেন সার্জেন অ্যান্ড্রি ভার্বা।

প্রসঙ্গত,এই যুদ্ধে রুশ ও ইউক্রেনীয় দুই বাহিনিরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ১১ মাস আগে রাশিয়া ইউক্রেনে প্রথম অভিযান চালানোর পর অন্যতম তীব্র ‘পরিখা’ যুদ্ধ শুরু হয়েছে বাখমুটে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, সোলেডার দখলের মাধ্যমে রাশিয়া উত্তর দিক থেকে বাখমুটকে ঘিরে ফেলতে চাইছে। এছাড়াও, ইউক্রেনের যোগাযোগের প্রধান পথগুলিকে অবরোধ করার চেষ্টাও চালাচ্ছে। সোমবার রাতে প্রকাশিত একটি ভিডিয়ো বক্তৃতায় ভ্লদিমির জেলেনস্কি জানান, ব্যাপক ধ্বংসলীলা চলছে বাখমুট ও সোলেডার শহরে। তা সত্ত্বেও এই অঞ্চলগুলিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম রেখেছে ইউক্রেন। তাঁর কথায়, সোলেডারে এখন কোন জীবিত প্রাণী নেই। রুশ সেনার মৃতদেহে সব ঢাকা পড়েছে।