#ফিলিপিন্স: ভাবুন একবার, রবিবার সকালে হয়ত বাজারে গেছেন। বেছে বেছে দোকানদারের সঙ্গে ঝামেলা করে ভাল খাসির মাংস বাজারের ঝুলিতে পুড়েছেন। ভাবছেন, শীতের দুপুরে খাসির ট্যালট্যালে ঝোল আর হুসহুসে নরম আলু দিয়ে ভাতটা জাস্ট জমে যাবে। ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেলেন পেঁয়াজের দোকানে। দরদামও করলেন। দামটা শুনেই গেলেন হকচকিয়ে। আরে ধুর মশাই! এমনটা হয় নাকি! পেঁয়াজের দাম কি না খাসির থেকে বেশি!
ঠিক এমনই অবস্থা এখন ফিলিপিন্সের মানুষের। পেঁয়াজের দাম এখানে আকাশ ছোঁয়া। দাম এতটাই বেশি যে, তা সে দেশের মানুষের ন্যূনতম দৈনিক মজুরিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, একদিন খেটেখুটে দিনের শেষে টাকা পেয়ে যে এক কেজি পেঁয়াজ কিনবেন, উহু! তেমনটা উপায় নেই।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে ফিলিপিন্সে পেঁয়াজের দাম গিয়ে পৌঁছেছে কিলো প্রতি ৬০০ পেসোয়। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৮৮৭ টাকা। এর তিন ভাগের এক ভাগ টাকাতেই এক কিলো মুরগির মাংস পাওয়া যায় সে দেশে। পর্কের দামের চেয়ে তো পেঁয়াজের তা প্রায় ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি।
গত ৩০ ডিসেম্বরই কিলো প্রতি পেঁয়াজের দাম ২৫০ পেসোয় (৩৬৯ টাকা) বেঁধে দিয়েছে ফিলিপিন্স সরকার। কিন্তু, তাতে লাভ হচ্ছে কই। তার উপরে চিন থেকে হুড়মুড়িয়ে ফিলিপিন্সে বেআইনি ভাবে ঢুকছে টন টন পেঁয়াজ। সব মিলিয়ে অবস্থা বেশ জটিল।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শুধু পেঁয়াজই নয়, গত কয়েক মাসে ফিলিপিন্সে দম বেড়েছে একাধিক আনাজের। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম।
এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে একাধিক কারণ তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, সরবরাহে সমস্যা এবং সবচেয়ে বড় করা বিশ্ব উষ্ণায়ন এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।