Work From Home-এর নামে ফাঁকিবাজি! কর্মীকে ১.৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদালতের

Work From Home-এর নামে ফাঁকিবাজি! কর্মীকে ১.৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদালতের

মহামারীর পরে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমে জোয়ার আসে। বহু সংস্থাই কর্মীদের সবাইকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বাড়ি থেকে কাজ করাচ্ছে। এতে তাদের অফিস ভাড়ার খরচও বেঁচে যাচ্ছে। মহামারী কেটে গেলেও তাই ‘রিমোট ওয়ার্ক’ বা ‘হাইব্রিড’ মডেলে কাজ চালাচ্ছে বহু সংস্থাই। বাড়ি থেকে কাজ করতে পেরে বেশিরভাগ কর্মীরাও খুশি। যাতায়াতের ঝামেলা নেই। অফিস গসিপের ভয় নেই। তাছাড়া কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে ব্রেকও নেওয়া যায়।

তবে এই ব্রেক নিতে গিয়েই অনেকের নিজের উপর সংযম থাকে না। বসের চোখরাঙানির পাটবালাই নেই। ফলে কাজের সময়েও অন্য কিছুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবার এমনই এক কর্মীকে হাতেনাতে পাকড়াও করল কানাডার এক সংস্থা। অফিস আওয়ার্সে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় কর্মীকে রীতিমতো মোটা অঙ্কের জরিমানা করলেন নিয়োগকারীরা।

দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই মহিলার ল্যাপটপে ‘স্পাই সফটওয়্যার’ বসিয়ে দিয়েছিল সংস্থা। এটি কিন্তু খুব বিরল নয়। অফিসিয়াল কাজের ল্যাপটপে অনেক সংস্থাই এমন স্পাই সফটওয়্যার বসায়। বিশেষত রিমোট ওয়ার্কের ক্ষেত্রে, কর্মী ফাঁকি দিলে তা হাতেনাতেই ধরা পড়ে যায়।

কার্লি বেস নামের ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ওই মহিলা Reach CPA নামের এক সংস্থায় অ্যাকাউন্টেন্টের কাজ করতেন। গত বছর তাঁকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ছাঁটাই করে দেয় সংস্থা। এরপরেই তিনি দাবি করেন, বিনা কারণে, মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ সংস্থার কাছ থেকে ৫ হাজার কানাডিয়ান ডলারও দাবি করেন ওই মহিলা।

তবে এত সহজে মানার পাত্র নয় সেই সংস্থা। উল্টে আদালতে পাল্টা অভিযোগ আনে তারা। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কার্লি-ই কতক্ষণ কাজ করছিলেন, তাই নিয়ে ভুয়ো তথ্য দিতেন। ঘণ্টা হিসাবে বেতন দিতে গিয়ে, তাতে তাঁদের বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছিল। প্রমাণ হিসাবে সংস্থা সেই স্পাই সফটওয়্যারের তথ্য তুলে ধরে বিচারপতির সামনে। সেখানে বলা হয়, সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ ঘণ্টা এমন গিয়েছে, যেখানে কার্লি বিন্দুমাত্র কাজ করেননি। অথচ সেই সময়ে লগ ইন করা আছে দেখিয়ে বেতনের টাকা নিয়েছেন Reach CPA থেকে।

স্পাই সফটওয়্যারটির নাম TimeCamp । এই সফটওয়্যারের মাধ্যমেই ধরা পড়ে যে, বিভিন্ন কাজের ডকুমেন্ট খোলা হয়েছে, অথচ তাতে কার্লে হাতই দেননি। এভাবে সংস্থাকে কাজের ‘অভিনয়’ করে প্রতারিত করেছেন বলে অভিযোগ তোলে নিয়োগকারীরা।

এর বিপরীতে আবার কার্লি পাল্টা যুক্তি দেন। তিনি বলেন, ওই সফটওয়্যারে সমস্যা আছে। অ্যাকাউন্টেন্ট হিসাবে তিনি মাঝে মাঝে হার্ড কপি নিয়েও কাজ করতেন। অর্থাত্ ডকুমেন্ট প্রিন্ট করে তার উপর কাজ করায় সেটি সফটওয়্যারে বোঝা যায়নি।

এরও পাল্টা তথ্য দেয় সংস্থা। তারা জানায়, টাইমক্যাম্প সফটওয়্যারে, কোনও কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করা হলে, সেটিও ধরা পড়ে যায়। ফলে তিনি যে প্রিন্ট করেননি, সেই প্রমাণও রয়েছে তাদের তাছে।

এর ফলস্বরূপ, কার্লির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। উল্টে কার্লিকেই ১,৬৭,২০৩ টাকা সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ করা হয়।

(Feed Source: hindustantimes.com)