মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার থেকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ বাদ পর্ষদের! ইতি টানার চেষ্টা বিতর্কে

মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার থেকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ বাদ পর্ষদের! ইতি টানার চেষ্টা বিতর্কে

বিতর্কের মধ্যে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের প্রশ্নপত্র থেকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ বাদ দেওয়া হল। মঙ্গলবার রাতের দিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্নপত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’ (যা ব্যবহার করে পাকিস্তান) শব্দবন্ধনী থাকার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে পর্ষদ।

মঙ্গলবার রাতের দিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত করা ২০২২-২৩ সালের টেস্ট পেপারের (Madhyamik Exam 2023 Test Paper) প্রেক্ষিতে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে। ইতিহাসের টেস্ট পেপারের ১৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় অযাচিত ভুল হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরের পরিবর্তে প্রথম বিকল্পটি (২.৪.১.) কাশ্মীর হিসেবে ধরা হবে।’ সেইসঙ্গে পুরো ঘটনার জন্য পর্ষদের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।

আগামী মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। তারইমধ্যে মঙ্গলবার পর্ষদের প্রকাশিত টেস্ট পেপার নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। ইতিহাসের একটি প্রশ্নপত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দবন্ধনী ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতের মানচিত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’ দেখাতে বলা হয়েছিল ওই প্রশ্নপত্রে। যে প্রশ্নপত্র মালদার একটি স্কুলের ছিল।

সেই ঘটনার জেরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করে বিজেপি। তৃণমূল সরকার নাকি বিচ্ছিন্নবাতীদের মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক হল মমতার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সরকার। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। রাজ্য সরকার শুধু জঙ্গিদের মদত জোগায় না, তরুণ পড়ুয়াদের মধ্যে ভারত-বিরোধী মনোভাব তৈরি করে দিচ্ছে।’

যদিও তৃণমূলের তরফে পালটা বিজেপিকে আক্রমণ শানানো হয়। তৃণমূল নেতা শান্তনু ঘোষ তিনি বলেন, ‘পর্ষদ নিজের কাজ করবে। কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে বিজেপির কথা বলার কোনও অধিকার নেই। ওরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গৈরিকীকরণ করে দিয়েছে। যা ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি থেকেই বোঝা গিয়েছে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)