বাজারে ডবল কুসুম ডিমের নাম করে যে ডিম খাচ্ছেন,সেটা শুনলে চমকে যাবেন

বাজারে ডবল কুসুম ডিমের নাম করে যে ডিম খাচ্ছেন,সেটা শুনলে চমকে যাবেন

কলকাতা : আপনারা নিশ্চয়ই ‘লাল ডিম’এর নাম শুনেছেন।আসলে ‘লাল ডিম’ কী?এই বিষয়ে শিয়ালদহ ডিম বাজারের কাজল দত্তের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, “হ্যাচারিতে  যখন বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটরে ডিম বসায়, তখন যত গুলি ডিম বসানো হয় তার ৬০% মতো ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। বাকি চল্লিশ শতাংশ ফুটে বাচ্চা হয় না।সেই ডিম গুলি যেহেতু, লাল রংয়ের ডিম,তাই এর নাম ‘লাল ডিম ‘।এই ডিম সাধারণত কেকের কারখানাতে ব্যবহার হয়।’’ দামেও কম হয় এই ডিম।

এমনকি  এই ধরনের ডিমের মধ্যে রক্তও সৃষ্টি হয়ে যায়।তাই ডিমগুলির দাম কম হয়। সে কারণেই ছোটখাটো কেকের কারখানাতে চলে যায় এই লাল ডিম। অন্যদিকে দেখা গেল,শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার খাবারের দোকানগুলোতে ,এই লাল ডিম সেদ্ধ বিক্রি হচ্ছে। ওই দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে জানায়,ওটি ডবল কুসুমের ডিম। পরে ডিম কেটে দেখা গেল,ডবল কুসুমের কোনো অস্তিত্ব নেই।পরে স্বীকার করে নেয় ওটি লাল ডিম।তবে এই বিশেষজ্ঞরা বলছেন,লাল ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

 ডবল কুসুমের ডিম বলে, যা দাবি করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে শিয়ালদহ বৈঠক খানা ডিম ব্যবসায়ীদের দাবি,সপ্তাহে এই ডবল কুসুম ডিম ১০০-১২০ পেটি পর্যন্ত আসে। তবে সেই ডিম খুব কম লোক পায়।

এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, “এই ধরনের ডিম প্রথমেই খেয়ে ফেললে তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে,ডিম দূরের রাজ্য থেকে আনতে গিয়ে কয়েক দিন সময় লাগে। ডিমের মধ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।সালমোনেলা জাতীয় ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।যেটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি হয় ,যার ফলে পেটের সমস্যা তৈরি হতে পারে।”

(Feed Source: news18.com)