এই বাজেটেই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, ধারা ৮০সি, ৮০ডি বাড়ানো উচিত,লাভটা আসলে কোথায়?

এই বাজেটেই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, ধারা ৮০সি, ৮০ডি বাড়ানো উচিত,লাভটা আসলে কোথায়?

কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাজেটে ব্যক্তিগত করছাড়ের সীমা বাড়ানোর আশায় বুক বাঁধছেন মধ্যবিত্তরা। আয়কর আইন ১৯৬১-র আওতায় একাধিক ছাড় পাওয়া যায়। বছরের পর বছর ধরে এই ছাড়ের সীমায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। ফলে বর্ধিত ব্যয়ের তুলনায় ছাড়ের বর্তমান সীমা বেশ কম। সরকারের কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের সীমা সংশোধন করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন রাখা হয় ৪০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের বাজেটে তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৪ শতাংশে পৌঁছায়। যা কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যেখানে ২০১৯-এ এই হার ছিল ৪ শতাংশ। বলাই বাহুল্য, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু আয়করদাতাদের পক্ষে তো আর প্রতিদিনের খরচ কাটছাঁট করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে পারে সরকার।

৮০সি: পারিবারিক সঞ্চয়ে উৎসাহ দিতে জীবন বিমা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রম হাউজিং ঋণের পরিশোধ ইত্যাদির প্রিমিয়ামে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র আওতায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। ছাড়ের এই সীমা শেষবার ২০১৪-১৫ বাজেটে ঠিক হয়। এবার সেটাই দেড় লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

৮০সিসিডি: কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশন স্কিমে (যেমন ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম) বিনিয়োগের উপর করছাড় পাওয়া যায়। আগেই বলা হয়েছে, দেড় লাখ টাকার সীমা ধারা ৮০সি-র অধীনে আগেই শেষ হয়ে যায়। এরপর ধারা ৮০সিসিডি(১)-এর অধীনে কর ছাড় পাওয়ার জন্য সামান্যই অবশিষ্ট থাকে। আয়করদাতারা মূলত পেনশন স্কিমে প্রিমিয়ামের উপর ধারা ৮০সিসিডি(১বি)-এর আওতায় ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। তাই কিছু বাস্তব সুবিধা প্রদানের জন্য সরকার আয়করদাতাদের জন্য এই সীমা বাড়ানোর কথা ভাবতে পারে।

৮০ডি: আয়করদাতা এবং নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য বিমা করানোর সময় প্রিমিয়ামের উপর ২৫ হাজার টাকা এবং পিতামাতার স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামে ২৫ হাজার টাকা করছাড়ের দাবি করতে পারে। প্রবীণ নাগরিক হলে সেই সীমা ৫০ হাজার টাকা। প্রবীণ নাগরিকদের চিকিৎসা খরচেও ৫০ হাজার টাকা কাটছাঁট পাওয়া যায়, যদি তাঁদের স্বাস্থ্য বিমা না থাকে। বর্তমানে চিকিৎসা খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উচ্চ কভারেজ-সহ স্বাস্থ্য বিমা করাচ্ছেন অনেকেই। তাই সীমা বাড়ানো হলে তাঁরা উপকৃত হবেন।

শিক্ষা ভাতা: শিক্ষা ভাতা এবং হস্টেল খরচে প্রতি মাসে ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালের অগাস্টে এই সীমা নির্ধারণ হয়েছিল। তার পর থেকে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে স্কুল এবং হস্টেল ফি বহু গুণ বেড়েছে। সেই তুলনায় বর্তমান ছাড়ের সীমা নগণ্য। তাই এই ছাড় পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।

(Feed Source: news18.com)