লখনউ: ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং। চোখ ধাঁধানো আলো। সারি সারি কাচের দেওয়ালওয়ালা দোকান। তার ওপারে সাজানো শাড়ি, গয়না, খাবার থেকে শুরু করে কত না জিনিস। কিন্তু, সেই জিনিস যে কিনবে, এমন সামর্থ্য কই? গরিব মানুষের কাছে, এই আতিশায্যের সম্ভার যেন কখনও না কাছে যেতে পারার একটা জগৎ। যা কষ্ট ছাড়া আর কিছুই দেয় না।
কিন্তু, এই জগৎকে ধনী-গরিব সকলের জন্য এক করে দিল লখনউয়ের একটি মল। নাম ‘আনোখা মল’। এই মল থেকে যা খুশি নিয়ে যেতে পারবেন গরিব, দুঃস্থ মানুষেরা। জীবন যাপনের জন্য যা তাঁদের প্রয়োজন, সবই তাঁদের বিনামূল্যে দেবেন মল কর্তৃপক্ষ। একটা পয়সাও লাগবে না।
জানা গিয়েছে, রিকশচালক থেকে দিনমজুর, কিংবা ফুটপাথবাসী, এই শীতের মরসুমে যাতে প্রত্যেকের গায়েই গরম জামাকাপড় থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এহেন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন মল কর্তৃপক্ষ। গত পাঁচ বছর ধরেই ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস ধরে তাঁদের এই বিশেষ কর্মসূচি চলে।
মলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মচারী আহমেদ রজা খান বলেন, “অনেক সময় দেখা যায় পোশাক বিতরণী অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র নিতে আসতে দ্বিধাবোধ করেন লোকজন। এখানে তেমনটা হয় না। শীতের পোশাক এক জায়গায় সাজানো থাকে। যে যাঁর প্রয়োজন মতো তা নিয়ে নিতে পারেন।”
তবে কারা শীতবস্ত্র নিয়ে যাচ্ছেন, তার একটি রেকর্ডও রাখেন রজা খানেরা। কারণ অতীতে নাকি এমনও হয়েছে অনেকে, এখান থেকে শীতবস্ত্র নিয়ে বাইরে গিয়ে তা বিক্রি করেছেন। এমন ঘটনা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই কারণ এই পোশাকপ্রাপকদের একটি রেকর্ড খাতা রাখেন তাঁরা।
রজা জানান, গত বছর প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ। প্রসঙ্গত, মানুষ চাইলে এখানে নতুন শীতবস্ত্র দানও করতে পারেন। এই ভাবেই গোটা প্রক্রিয়া চলে এই ‘আনোখা মল’-এ।