পাথর বিক্রি করে কোটিপতি, এই গল্প অবাক করবে সকলকে

পাথর বিক্রি করে কোটিপতি, এই গল্প অবাক করবে সকলকে

নয়া দিল্লি: পাথর বিক্রি করে কোটিপতি! ভাবছেন সেটা আবার কী ভাবে? রত্নের ব্যবসা না কি? উত্তর, না। নদীর পাড়ে পড়ে থাকা পাথর বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন তিনি। এটা আসলে পেট রকের গল্প। ম্যানেজমেন্ট কলেজে কেস স্টাডি হিসেবে পড়ানো হয়। জেপি মরগানের সিইও সম্প্রতি বিট কয়েনকে এই পেট রকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

পেট রকের গল্প

১৯৭৫ সালের এক বিকেল। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন গ্যারি ডেহল। সঙ্গে ছিল তাঁর পোষ্য কুকুর। কথায় কথায় পোষ্যর সঙ্গে পাথরের তুলনা করেছিলেন গ্যারি। মজা করে বলেছিলেন, ওর চেয়ে একটা পাথরও ভাল। গ্যারি আসলে বিজ্ঞাপন সেক্টরে কাজ করতেন। আড্ডা শেষে নদীর তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে কী মনে হয়, হাতে পাথর কুড়িয়ে নেন গ্যারি। ভাবেন এগুলো বিক্রি করলে কেমন হয়!

যেমন ভাবা, তেমনি কাজ।শুরু হল নদীর তীরে পড়ে থাকা পাথর বিক্রি। দুর্দান্ত প্যাকেজিং করে ৪ ডলার দামে সেই পাথর বাজারে লঞ্চ করলেন গ্যারি। সঙ্গে ৩২ পাতার মজাদার ম্যানুয়েল। বাজারে আসামাত্রই হটকেকের মতো বিক্রি শুরু হল সেই পাথর। প্রায় ১ মিলিয়ন প্যাক পাথর বিক্রি করেছিলেন গ্যারি। এক বছর পর যখন মানুষ বুঝল, এটা একটা সাধারণ পাথর, তখন বিক্রিতে ভাটা পড়ল। কিন্তু তত দিনে গ্যারি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, পাথর বিক্রির সেই টাকায় তিনি অন্য ব্যবসাও শুরু করেছেন।

পেট রক কিনতে মানুষ হামলে পড়েছিল

পরবর্তী কালে মানুষের এমন ‘পাথর প্রেমের’ কারণ জানতে অনেক গবেষণা হয়। বোঝা যায়, পাথরের কারণে নয়, গ্যারির উপস্থাপনা এবং ম্যানুয়ালে যা লেখা ছিল, তার প্রভাবেই এমন বিক্রি। সেই শব্দগুলোই মন ছুঁয়ে যায় ক্রেতাদের। ৪ ডলার দিয়ে মানুষ শুধু পাথর কেনেইনি, এমনকী অন্যদেরও তা কেনার জন্য উৎসাহ দিয়েছে।

ক্রিপ্টোকে পেট রকের সঙ্গে তুলনা কেন

সেই পেট রকই আবার শিরোনামে। আসলে জেপি মরগানের সিইও জেমি ডিমন ক্রিপ্টোকে পেট রকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, ক্রিপ্টো নিজে থেকে কিছু করে না। তাকে দিয়ে করাতে হয়। অনেকটা পেট রকের মতো।

(Feed Source: news18.com)