চোখের সামনে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানি, বাঁচাতে গিয়ে হাওড়ায় খুন বাবা

চোখের সামনে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানি, বাঁচাতে গিয়ে হাওড়ায় খুন বাবা

হাওড়া: দশম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের সন্মান বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন বাবা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগে উত্তাল হাওড়া শ্যামপুরের নস্করপুর। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও এখনও পলাতক দুই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নস্করপুরের বাসিন্দা দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ন’ টার সময় টিউশন পড়ে একাই সাইকেল চালিয়ে ফিরছিল। তখনই সাইকেল আটকে তাকে কুপ্রস্তাব দেয় দুই দুষ্কৃতী। কুপ্রস্তাবে রাজি না হাওয়ায় ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে তারা।

প্রতিদিনের মতোই ওই ছাত্রীর বাবা মেয়েকে বড় রাস্তা থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দাঁড়িয়ে ছিলেন। দূর থেকে মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে যান ওই ব্য়ক্তি। অভিযোগ, তখনই ওই ছাত্রীর বাবাকে বেধড়ক মারধর করে দুই অভিযুক্ত।

ছাত্রীর দাবি, এলাকার দুই যুবক কিল্টন বাগ ও টিটন বাগ সম্পর্কে দুই ভাই। তারাই তার বাবাকে মারতে মারতে রাস্তার ধারের ঝোপের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে লাঠি, রড দিয়ে তাঁকে মারধর করে। ছাত্রীর চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দারা এসে তাঁকে উদ্ধার করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্য়ক্তিকে উদ্ধার প্রথমে শ্যাম্পুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, আহত ওই ব্য়ক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে উলুবেড়িয়া হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কিল্টন বাগকে গ্রেফতার করে শ্যামপুর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ কিল্টন ও টিটন ছাড়াও আরও এক যুবকের নাম পায় । পুলিশের দাবি, শান্তনু হাঁপর নামে কিল্টনের আরেক সঙ্গীও এই ঘটনায় যুক্ত।

কিল্টনকে গ্রেফতার করতে পারলেও এখনও বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ পায়নি পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ,  এই এলাকায় এই মদ্যপ যুবকদেরও অত্যাচারে অতিষ্ঠ তাঁরা। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্য়ুর পরে পুলিশ-প্রশাসনের ঘুম ভাঙুক, সেটাই চাইছেন ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।

(Feed Source: news18.com)