ছাত্রছাত্রীদের এ বারে ইংরেজি শেখাবে এসএফআই, সেরা হলে দেবে স্কলারশিপও

ছাত্রছাত্রীদের এ বারে ইংরেজি শেখাবে এসএফআই, সেরা হলে দেবে স্কলারশিপও

#দেগঙ্গা: মাতৃভাষার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ইংরেজিটা জানলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে কাজের ক্ষেত্রে সাবলীল ভাবে ছাত্রছাত্রীরা যাতে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে তার জন্য শুরু করা হল স্পোকেন ইংলিশ কোর্স। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাঁদ পুকুরে এই কোর্স শুরু করল সংগঠনের লোকাল কমিটি। সাফল্য পাওয়া গেলে বৃত্তটা আরও বড় করার চিন্তাভাবনা করবে সংগঠনের নেতৃত্ব। আপাতত ৫০ জনকে দু-দলে ভাগ করে ক্লাস করানো হবে। বছর শেষে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেরাদের দেওয়া হবে স্কলারশিপ। তবে সেই সংখ্যাটা এখনও ঠিক হয়নি।

সোমবার উদ্বোধন করেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য আকাশ কর। আকাশ বলেন, “আমরা সকলের শিক্ষার জন্য যেমন লড়াই করছি তেমনই যেহেতু রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সকলের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দিতে ব্যর্থ সেহেতু বিকল্পের সংস্থান আমরাই করছি। সেই লক্ষ্যেই এই স্পোকেন ইংলিশ কোর্স। এই ইংলিশ কোর্স টানা কয়েকবছর চলবে। এই কোর্স যেখানে চলছে, সেখানে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় যারা সেরা হবে, শুধু তাঁদের শেখানোই না আগামিদিনে তাদের সুবিধার জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হবে। তবে কবে তা দেওয়া হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই সেই স্কলারশিপ দেওয়া হবে।

আপাতত দেগঙ্গা লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে এই কোর্স শুরু হল। আগামিদিনে সেটা আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। আমরা মনে করি মাতৃভাষাই শিক্ষার জন্য সব চাইতে ভাল মাধ্যম। তবে রাজ্যে সরকারি চাকরির সুযোগ কমছে। বেসরকারি চাকরি করতে যেতে হচ্ছে তাই ঘটনাচক্রে ইংরেজিটা প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। সরকার যেহেতু তার দায় নেবে না তাই আমাদের এগিয়ে আসতে হচ্ছে। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “বিকল্পের অভিমুখে এসএফআই, মানুষ গড়ার কাজে এসএফআই। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার দেগঙ্গার প্রান্তিক গ্রাম চাঁদপুকুরে এসএফআই এর উদ্যোগে শুরু হল স্পোকেন ইংলিশ কোর্স। ৫০জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে শুরু হল এই কোর্স। শেখাবেন শিক্ষকেরা আমাদের ছাত্রনেতারাও। দুটো গ্রুপ করে শেখানো হবে। বছর শেষে পরীক্ষায় যারা সেরা হবে তারা এসএফআই-এর পক্ষ থেকে স্কলারশিপ পাবে।”

ইংরেজি তুলে দেওয়া নিয়ে বরাবরই বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বামেদের। যদিও এই বিষয়ে আকাশ বলেন, “ইতিহাস গুলিয়ে দিতে চাইলে হবে না। সেই সময় কেন্দ্রীয় অ্যাডভাইসরি নীতি অনুযায়ী কোনও রাজ্যেই বাধ্যতামূলক ছিল না।”

UJJAL ROY

Published by:Shubhagata Dey

(Source: news18.com)