পশ্চিমবঙ্গ ‘‌রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্বনির্ধারিত সূচি’‌, বিজেপির চিত্রনাট্য ফাঁস কুণালের

পশ্চিমবঙ্গ ‘‌রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্বনির্ধারিত সূচি’‌, বিজেপির চিত্রনাট্য ফাঁস কুণালের

হাতেখড়ির পর যেতে হচ্ছে নয়াদিল্লি। আর তা নিয়ে বিজেপি নেতারা বাংলায় ‘‌কেমন দিলাম’‌ গোছের আচরণ করতে শুরু করেছেন। অথচ এই সফরসূচি পূর্বনির্ধারিতই ছিল বলে এবার ফাঁস করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি টুইট করে বিজেপি নেতাদের তৈরি চিত্রনাট্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তাতে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজভবনে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের পরেই নয়াদিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, শুক্রবার উপ–রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে।

এদিন রাজ্যপালের এই হাতেখড়িতে আমন্ত্রণ পেয়েও আসেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‌রাজ্যপালের ভালমানুষিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নের দূত হিসাবে কাজ করছেন রাজ্যপাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। যখন টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা উঠে আসছে, তখন রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান দেখিয়ে ওই সব ইস্যু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা আসলে ঝাঁ চকচকে বইয়ের কভারের তলা অশ্লীল পাঠ্যপুস্তক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কুইন–পিন।’‌ তারপরই নয়াদিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন রাজ্যপাল।

এদিকে একদিন আগেই বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‌একজন বয়ষ্ক মানুষ বাংলা শিখছেন, খুবই ভাল কথা। কিন্তু হাতেখড়ি অনুষ্ঠান একটি রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে সবই যেন ঠিক আছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রটা ঠিক নেই। গোটা শিক্ষা দফতরটা এখন প্রায় জেলে। এরকম একটা সময়ে হাতেখড়ি একটা স্টান্ট। এই স্টান্টের মধ্যে রাজ্যপালের পড়া উচিত নয়।’‌ আর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌শুনলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাকি রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতেখড়ি হবে। এখন ভুল মাস্টারের কাছে যদি শেখেন তাহলে ভুলই শিখবেন। উনি ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন।’‌

অন্যদিকে গোটা বিষয়টি ফাঁস করে টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‌রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। তা গোপন করে যারা অন্য গল্প দিচ্ছেন এবং তলবজনিত চিত্রনাট্য লিখছেন, সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজভবনের উপর চাপের অপচেষ্টা বিজেপি চালাচ্ছে সেটা ঠিক। কিন্তু রাজ্যপালকে তলবের গল্প রটিয়ে দিল্লির দাদাগিরি প্রতিষ্ঠা যেন না করা হয়।’‌

(Feed Source: hindustantimes.com)