Oldest Non-royal Mummy: মমি-গবেষণায় সম্প্রতি মিশর থেকে যা পাওয়া গেল তা দেখে স্রেফ হাঁ হয়ে গেল বিশ্ব…

Oldest Non-royal Mummy: মমি-গবেষণায় সম্প্রতি মিশর থেকে যা পাওয়া গেল তা দেখে স্রেফ হাঁ হয়ে গেল বিশ্ব…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোনায় মোড়ানো মমি? হ্যাঁ, কোনও গল্প নয়, আকাট সত্যি। মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, একটি কফিনের ভেতর থেকে তাঁরা সোনায় মোড়ানো এক মমির সন্ধান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার মিশরের প্রাচীন এক সমাধি-এলাকায় কফিনটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কফিনটি ৪৩০০ বছর পরে এই প্রথমবার খোলা হয়েছে! জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির মমি উদ্ধার হয়েছে, তাঁর নাম ছিল হেকাশেপেস। এ পর্যন্ত রাজপরিবারের বাইরে যতগুলি মমি পাওয়া গিয়েছে মিশরে, এটি তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন।

কায়রোর দক্ষিণাঞ্চলের সাকারা সমাধিক্ষেত্রের এক কবরে কফিনটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাচীন এই সমাধিস্থলের আরও তিনটি কবরে মমি পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে বড় যে মমি পাওয়া গিয়েছে, তা এক পুরোহিতের। আরেকটি মমি এমন এক ব্যক্তির, যিনি রাজপ্রাসাদের এক প্রবীণ কর্মকর্তাগোছের কেউ ছিলেন। তাঁর উপাধি ছিল ‘সিক্রেট কিপার’। যাঁদের এই রকম উপাধি থাকত তাঁরা বিশেষ ধর্মীয় আচারগুলি পরিচালনা করতে পারতেন। অন্য আর একটি কবরে ফেতেক নামের এক বিচারপতি ও লেখককে সমাহিত করা হয়েছিল। কবরে একটি ভাস্কর্যও পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওই সমাধি-এলাকায় পাওয়া সব চেয়ে বড় আকারের ভাস্কর্য এটি। কবরগুলিতে মাটির তৈরি পাত্র-সহ আরও নানা জিনিসপত্র মিলেছে।

মিশরের প্রাক্তন পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস বলেন, যেসব জিনিস পাওয়া গিয়েছে, তা খ্রিস্টপূর্ব ২৫ শতাব্দী থেকে শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব ২২ শতাব্দীর মধ্যেকার। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, এই আবিষ্কারের ঘটনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এইসব জিনিস মিশরের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তিন হাজার বছরের বেশি পুরোনো এক সমাধিস্থল হল সাকারা। ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের এলাকা হিসেবে স্বীকৃত এটি। তবে এ সমাধিস্থলটিকে এখনও ব্যবহার করা হয়। কয়েক বছর ধরে দেশের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে মিশর। এরই অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বড় বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ঘটনা ঘটছে। যা মিশরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির নতুন নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে।

(Feed Source: zeenews.com)