২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত সংদীয় এলাকায় সাংসদদের উপস্থিতিতে পর্যালোচনা বৈঠক আয়োজন করতে হবে জেলা শাসকদের। নইলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করবেন তিনি। টুইটারে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিককে তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে কি স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে?
শনিবার নোদাখালিতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের আমন্ত্রণপত্র ও আমন্ত্রিতের তালিকা প্রকাশ করে রবিবার টুইট করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি লেখেন, ‘রাজ্যে গণতন্ত্র আছে না স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে বুঝতে পারছি না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় কেন্দ্রের জন্য পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করেছেন। রাজ্যে ৪২টি সংসদীয় এলাকা রয়েছে, বাকিদের কী হবে’?
এর পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৪ বছরে রাজ্যে এই ধরণের কোনও বৈঠক হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও ৩ সংসদীয় কেন্দ্র জয়নগর, মথুরাপুর ও যাদবপুরে কেন বৈঠক হল না? আশা করব বাকি ৪১টি সংসদীয় এলাকাতেও এই ধরণের বৈঠক আয়োজনের জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হবে। ২ সপ্তাহ সময় দিলাম। বৈঠক না হলে জনস্বার্থ মামলা করা হবে। আদালতে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন’।
রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বাবু বলেন, ‘আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বলুন, জয়নগর, মথুরাপুর ও যাদবপুরের সাংসদরা বা নাগরিকরা কেন বঞ্চিত হবে? মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী তিনটি সরকারি ফ্ল্যাটে থাকেন সঙ্গে বাড়িভাড়া বাবদ ভাতাও নেন। ১৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে পাইয়ে দিয়েছেন। টাকা ওনাকে ফেরত দিতে হবে। ওনাকে বলেছি, বাকি ৪১ জন সাংসদ কী অপরাধ করেছে? একদিকে বলবেন, ভোটের সময় রাজনীতি সারা বছর উন্নয়ন। অন্যদিকে পরিবারতন্ত্র, রাজতন্ত্র কায়েম করবেন। দু’টো একসঙ্গে হয় না’।
পালটা তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, তৃণমূল বিজেপির মতো সারা বছর রাজনীতি করে না। তারা রাজনীতি করে শুধু ভোটের সময়। ভোট মিটলে তারা মানুষের কাজে নেমে পড়ে। কিন্তু বিজেপি সাংসদদের এলাকায় দেখা যায় না। বিজেপির উচিত অভিষেকের কাছ থেকে কিছু শেখা।
(Feed Source: hindustantimes.com)