প্রশ্নের উত্তর নিয়ে MSC-র সঙ্গে সংঘাত SSC-র, বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত চাইল আদালত

প্রশ্নের উত্তর নিয়ে MSC-র সঙ্গে সংঘাত SSC-র, বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত চাইল আদালত

এসএসসির কিছু প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল ছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (এম এস সি) শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়। অথচ এই প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তরের সঙ্গে মিলছে না মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের উত্তর। তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের উত্তরপত্র ভুল। এই দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কিছু প্রার্থী। তার ভিত্তিতে সঠিক উত্তর যাচাই করার জন্য প্রশ্নগুলি বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এনিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

মামলাকারীদের বয়ান অনুযায়ী, ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ৬ তম এসএলএসটি’র ওয়ার্ক এডুকেশনে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষা হয়েছিল গত বছর। সেই পরীক্ষায় উত্তর ভুলের অভিযোগ উঠেছে। মামলার আইনজীবী আলী আহসান আলমগীর জানান, ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে প্রশ্ন ছিল তারমধ্যে ২৯ টি প্রশ্ন হুবহু এক ছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায়। এমনকি প্রশ্নের উত্তরের অপশনও হুবহু একই ছিল। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন যে উত্তর সঠিক বলে দাবি করছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সেই উত্তরকে সঠিক বলে দাবি করছে না। এ রকম ন’টি প্রশ্ন রয়েছে। সব মিলিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে ১৩টি প্রশ্নের উত্তরে।

আইনজীবী বলেন, ‘মামলাকারীরা প্রশ্নগুলির যে উত্তর দিয়েছিলেন তা শুধু স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তরের সঙ্গে মিলছে তাই নয়, সেগুলো যে সঠিক তা আমরা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের লেখা বই থেকেও আদালতকে দেখিয়েছি। প্রার্থীরা সঠিক উত্তর বেছে নেওয়ার পরেও তাদের নম্বর দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রার্থীরা।’ তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চ বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ১৩টি উত্তরের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(Source: hindustantimes.com)