নয়াদিল্লি: আফ্রিকার আদিবাসী সম্প্রদায়দের মধ্যে নানারকম অদ্ভুত সব রীতিনীতি এখনও চালু আছে৷ তার অনেকাংশই আমরা হয়ত জানি না৷ তেমনই আফ্রিকার ইথিয়োপিয়া দেশের এক জনজাতি হ্যামার৷ যাদের এক অদ্ভুত রীতির কথা প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালে, এক আন্তর্জাতিক চিত্রগ্রাহক সেই নিয়মের ছবি তোলার পর৷ সেই পুরো বিষয়টাই বিবাহ কেন্দ্রীক৷
বিবাহের অদ্ভুত সব নিয়ম নীতি চালু আছে এই হ্যামার সম্প্রদায়ের মধ্যে৷ প্রাথমিক ভাবে এখানে পুরুষদের বিবাহের আগে একাধিক পরীক্ষা দিতে হয়, এবং প্রকাশ্যে৷ মনে করা হয়, এই সম্প্রদায়ের নারীরা পুরুষদের জন্য যে পরিমাণ আত্মত্যাগ করেন, পুরুষরা সেই পরিমাণ করেন না, সেই কারণে পুরুষদের একাধিক পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ আর সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে মেয়েরাই চাবুকের মারেন পুরুষকে৷
এখানে কোনও মহিলাকে বিয়ে করতে হলে, সেই বিয়ের প্রস্তাব ওই মহিলাকে প্রকাশ্যে গ্রাম সভায় দিতে হয়৷ তারপর সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে একাধিক পরীক্ষা শুরু হয় ওই পুরুষের৷ পুরুষটি নারীর যোগ্য কি না, তা বিচার করা হয়৷ তার অংশ হিসাবেই চাবুকের আঘাত করার রীতি চলে আসছে৷ ওই জনজাতি মনে করে, এই আঘাত পুরুষকে পুরুষত্বে উন্নিত করে৷
এ ছাড়াও পুরুষটি যে বিয়ের জন্য তৈরি, তা জন্য প্রকাশ্যে প্রমাণ দিতে হয় পুরুষটিকে৷ কী ভাবে? ১৫টি গরু বা ষাঁড়কে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়৷ সেগুলোকে এক লাফে টপকে যেতে হয়, তা হলেই ধরে নেওয়া হয় সেই পুরুষ বিবাহে প্রস্তুত৷
আর যদি কেউ সেটি না পারে, তখনই লজ্জার বেড়া ভেঙে সেই পুরুষটিকে সকলের সামনে ক্রমাগত চাবুক মারে পাণিপ্রার্থী মহিলা৷ তাতে পিঠে হয়ে যায় কাটা কাটা দাগ৷ এই তাঁর শাস্তি৷