কলকাতা: শেষ পর্যন্ত ভেলোরে যেতে গিয়েই এনআইএ জালে মুনতাজ আলি! দীর্ঘদিন ধরে গোয়ান্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল মুনতাজ। কিন্তু হাওড়া থেকে টিকিট কাটাই কাল হয়ে দাঁড়াল তার।
এনআইএ সূত্রে খবর, মুনতাজ আলি দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল। মুনতাজ ভেলোরে যাওয়ার প্ল্যান করেছিল। সেজন্য হাওড়া থেকে টিকিট কেটেছিল মুনতাজ। গ্যাস্ট্রিকের দীর্ঘ সমস্যা হওয়াতে ভেলোরে চিকিৎসা করানোর প্ল্যান ছিল মুনতাজের।
এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনআইএ গ্রেফতার করে মুনতাজকে। মুনতাজকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় তার গোডাউন এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ফলে প্রত্যন্ত নির্জন এলাকার সুযোগ নিয়ে অ্যামুনিয়াম নাইট্রেট, ইলেক্ট্রনিক ডিটনেটর গোডাউন থেকে সরবরাহ করা হত বলে জানায় মুনতাজ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বীরভূমে বৈদ্যুতিক ডেটোনেটর উদ্ধারের ঘটনায় হাওড়া থেকে এনআইএর হাতে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত মুনতাজ আলি ওরফে রিন্টু।
এনআইএ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত মুনতাজ আলি ইলেক্ট্রনিক ডেটনেটর ছাড়াও বীরভূম, ঝাড়খন্ড বর্ডারে রয়েছে বেআইনি বিস্ফোরক তৈরির গোডাউন। অ্যামুনিওয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক তৈরির উপাদান ওই কারখানায় তৈরি হয়। মুনতাজের সাগরেদ ইমরানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
এক দশক ধরে ওই কারখানা গুলি বেআইনি ভাবে চালাচ্ছে মূল অভিযুক্ত মুনতাজ। কী ভাবে চলছিল ওই কারখানা এবং কে লাইসেন্স দিয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে এনআইএ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০২২ সালে ২৯ জুন গভীর রাতে বীরভূমে টাটা সুমো গাড়ি মধ্যে করে একাশি হাজার বৈদ্যুতিন ডিটনেটর নিয়ে আসছিল। বীরভূমের মোহন্মদ বাজারে সেই ঘটনায় একটি মামলা হয়।
রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সেই গাড়ি থেকে বিপুল পরিমান বৈদুতিন ডিটনেটর উদ্ধার করে। পরে এই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এই বৈদুতিন ডিটনেটর আসলে অত্যাধুনিক ডিটনেটর। কখন ও কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এনআইএ-এর অনুমান, এর সঙ্গে বড়সড় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে।