জন বারলার উত্থান কি সহ্য হচ্ছিল না আদিবাসী বিদ্বেষী সুমন কাঞ্জিলালের? শংকর ঘোষ

জন বারলার উত্থান কি সহ্য হচ্ছিল না আদিবাসী বিদ্বেষী সুমন কাঞ্জিলালের? শংকর ঘোষ

সুমন কাঞ্জিলালের দলত্যাগে এবার তাঁর বিরুদ্ধে আদিবাসী বিদ্বেষের অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বর্তমানে ত্রিপুরায় রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সম্ভবত একজন আদিবাসী প্রান্তিক মানুষের উত্থানে পীড়িত ছিলেন সুমন।

রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে দলবদল করেন সুমন কাঞ্জিলাল। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন অভিষেক। যদিও দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিতে দেখা যায়নি। অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে সুমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। জনপ্রতিনিধি হিসাবে এলাকার মানুষের উন্নয়নে সব সময় তাদের পাশে থাকা আমার কর্তব্য। তবে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন একথা নিজে মুখে স্বীকার করেননি।

সুমন কাঞ্জিলালের দাবি, সাংসদ হিসাবে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়নে জন বারলার যতটা উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল ততটা তিনি হননি। তাঁকে গত ২ বছরে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের অনেক জায়গাতেই দেখা যায়নি।

সুমনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে শংকরবাবু বলেন, ‘দলবদলের পর সুমনের বক্তব্য আমি শুনেছি। ওর বক্তব্য শুনে আমি অবাক হয়েছি। উনি আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার এলাকায় কাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। সুমনকে মনে রাখতে হবে আলিপুরদুয়ার জেলার সমস্ত বিধায়ক আমাদের দলের। অন্য কোনও বিধায়ক কিন্তু এই প্রশ্ন তোলেননি বা এই ধরণের বক্তব্যও রাখেননি। অন্য কোনও বিধায়কের যখন জন বারলার সঙ্গে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না তখন সুমনের সমস্যা হল কেন? সুমন কি আসলে আদিবাসী মানুষ বিদ্বেষী? রাজ্যের প্রান্তিক এক জেলার এক আদিবাসী চা শ্রমিককে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রী করেছেন। একজন আদিবাসী মানুষ কী ভাবে মন্ত্রী হবেন, সুমন সম্ভবত এই ভাবনায় পীড়িত ছিল’?

(Feed Source: hindustantimes.com)