কলকাতা: রেড ওকারের ফ্যাশন-লাইফ স্টাইল প্রদর্শনী ‘ইকুইলিব্রিয়াম’। শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরীর সৃষ্টি নিয়ে এই প্রদর্শনী আইসিসিআরের অবনীন্দ্রনাথ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হল। উদ্বোধনীর দিনে ছিল ফ্যাশন ওয়াক। ফোক আর্টের সঙ্গে ফ্যাশনের মেলবন্ধন। ওয়াকে অংশগ্রহণ করলেন চৈতালি দাশগুপ্ত, অলকানন্দা রায়, সুদর্শন চক্রবর্তী, রূপা চক্রবর্তী, অর্ণব বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।
রেড ওকার হল কলকাতা ভিত্তিক একটি বিশেষ ফোকআর্ট বেসড লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। যেটির মূলে রয়েছে গ্রামীণ কারিগরদের ঐতিহ্যসমৃদ্ধ কাজ। প্রকৃতির মধ্যে থেকেই এর মূল রসদ সংগ্রহ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পীদের তৈরি করা কাজ সুলভ মূল্যে পাওয়া গেল। একটি কারিগর উপজাতি গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। রেড ওকার স্টুডিওতে প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও কিছুর গল্প বোনা চলতে থাকে। সমসাময়িক ফ্যাশনের সঙ্গে খাঁটি উপজাতীয় এবং লোকশিল্পীদের কাজের মিশেল ঘটানো হয়।
হস্তশিল্পের পোশাক, গহনা, বাড়ির টেক্সটাইল, টেবিলওয়্যার (সিরামিক এবং কাঠ খোদাই), আসবাবপত্র, ধাতব কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, ঝুলন্ত প্রসাধন, লাইট শেডস , ব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক, পেইন্টিং নানা প্রকার সামগ্রীর প্রদর্শনী যা নানা প্রান্তের লোকশিল্পীদের বানানো।
রেড ওকার ভারতীয় লোকশিল্প এবং দেশের আদিবাসীদের প্রাণবন্ত শিল্পকর্মের প্রতি এক অদম্য আবেগ থেকে পরিশ্রম করে চলেছে।রেড ওকারের বৈশিষ্ট্য হল এটির সংমিশ্রিত উপজাতীয় শিল্প। শর্মিষ্ঠা রায়চৌধুরী এর মূল কাণ্ডারী। শিক্ষাগত দিক দিয়ে তিনি একজন উদ্ভিদবিদ। পেশাগতভাবে একজন ব্যাংকার ছিলেন এবং এখন একজন স্বঘোষিত শিল্পী।
শর্মিষ্ঠা বলেন, “আমি পাঁচ বছর বয়সে প্রথম চারকোল হাতে ধরেছিলাম এবং তবে আমি তা দিয়ে কিছু সৃষ্টি করেছিলাম কি না মনে নেই। পরে আমি ফাইনাস্ন নিয়ে কর্মজীবন শুরু করি। কর্পোরেট গোলকধাঁধায় ঘুরে বেড়ানো এবং হ্যামস্টার হুইলে ২০ বছর কাটানোর পর আমি ক্ষুধার্ত অ্যামিবার মতো খালি মন নিয়ে নতুন করে শুরু করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি।”
নানা জায়গায় ভ্রমণ করে আমি লোকশিল্পের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। তাঁর কথায়, “শিল্প আমার জন্য আরেকটি বিস্তৃত এবং উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রার বীজ বপন করে। আমরা মনে করি যে আমরা তাঁতি এবং শিল্পীদের একটি সম্প্রদায় তৈরি করেছি। যাঁরা নিরলসভাবে ঐতিহ্যগত কৌশলগুলির সঙ্গে কাজ করেন এবং আধুনিক শহুরে ল্যান্ডস্কেপের জন্য উপযুক্ত কার্যকরী পণ্যগুলির একটি ভাণ্ডার প্রস্তুত করে চলেছেন।”