৪৮ লাখের ক্রিপটোকারেন্সি ফ্রিজ করল বিধাননগর পুলিশ, কলসেন্টারের পর্দাফাঁস

৪৮ লাখের ক্রিপটোকারেন্সি ফ্রিজ করল বিধাননগর পুলিশ, কলসেন্টারের পর্দাফাঁস

বিধাননগর সিটি পুলিশ শনিবার প্রায় ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের ক্রিপটোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করেছে। বিনান্স নামে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিপটোকারেন্সি বিনিময় প্লাটফর্মে এই বিপুল অঙ্কের ক্রিপটোকারেন্সি ফ্রিজ করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বিধাননগরের বিভিন্ন বেআইনী কল সেন্টার থেকে এই বিপুল অঙ্কের ক্রিপটোকারেন্সি জড়ো করা হয়েছিল।

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, টেকনোসিটি থানার টিম আন্তর্জাতিক কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছিল। একটি আবাসন থেকে সেই কল সেন্টারটি চালানো হচ্ছিল। মাস খানেক আগের ঘটনা। পাঁচজনকে সেই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই পুলিশ এই বিপুল ক্রিপটোকারেন্সির সন্ধান পায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বেআইনী কলসেন্টারের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হত।  বিনান্স নামের ওই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে সাইফোন করা হয়েছিল। কী এই বিনান্স?

Binance হল আন্তর্জাতিকস্তরের একটি ক্রিপটোকারেন্সি বিনিময় প্লাটফর্ম। চাংপেং ঝাও নামে এক ব্যক্তি ২০১৭ সালে এটি তৈরি করেন। ক্রিপটোকারেন্সি কেনার ক্ষেত্রে এটাকে অত্যন্ত উপযোগী প্লাটফর্ম হিসাবে মনে করা হয়।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি জানার পরে বিনান্স সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর সরকারি কোষাগারে যাতে সেই টাকা আবার ফিরে আসে তার চেষ্টা করা হয়। তবে শুধু এটা নয়, আরও একাধিক অ্য়াকাউন্ট এবার নজরদারিতে রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বিধাননগর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে একাধিক কলসেন্টার। সেখান থেকে এভাবে লাখ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সাধারণ মানুষও এই ফাঁদে পা দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন।

এনিয়ে পুলিশের কাছেও নানা অভিযোগ আসে। এবার পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে। কলসেন্টারগুলিতে ঠিক কী ধরনের কাজ কর্ম করা হচ্ছে সেটাও দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অন্তত ২৫টি বেআইনী কলসেন্টাররে পর্দাফাঁস করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে কলসেন্টারের কর্মীরাও রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক এনিয়ে জানিয়েছেন।

এদিকে বিধাননগর এলাকার কলসেন্টার গুলির কাজকর্মকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রশ্ন উঠছিল। এবার সেই কলসেন্টার থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা কীভাবে অন্যত্র পাঠানো হত তারও পর্দাফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ।

(Feed Source: hindustantimes.com)