শিলিগুড়ি: পাহাড়ে বেড়াতে গেলে আপনারা হোম স্টে-র খোঁজ করেন। হোমস্টে তে থাকতেই পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি বেড়াতে এসে আদৌ কি হোম স্টেতে উঠছেন? ‘হোমস্টে’র অর্থ একজন পর্যটক স্থানীয় পরিবারের বাড়িতে গিয়ে উঠছেন। সেখানেই থাকছেন।
সরকারি মতে, হোম স্টে প্রোগ্রামের ধারণা হল পর্যটকদের স্থানীয় পরিবারের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা। এ ভাবে থাকা পর্যটকদের স্থানীয় জীবনধারা, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। হোম স্টে একটি বিকল্প পর্যটন যেখানে পর্যটকরা হোম স্টে’র পরিবারের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকবেন এবং পরিবার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা পাবেন। কিন্তু আদৌ কি আপনি এখন কোন হোম স্টে-তে গিয়ে উঠছেন? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম জুড়ে মোট ১২ হাজার হোমস্টে রয়েছে এবং সবটাই সরকারি অনুমোদিত। হোম স্টে মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল তিনচুলে বলে একটি গ্রাম থেকে। তিনচুলে গ্রামের সংস্কৃতি, সেখানের বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি মানুষের বিশ্বাস, সেখানকার মানুষের বসবাস, আশপাশের ট্র্যাকিং রুট সেগুলিকে পরিচিত করার জন্যই মূলত হোম স্টে শুরু হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে প্রচুর হোম স্টে হয় দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়।
গোটা ভারতে মধ্যে সবথেকে বেশি হোমস্টে রয়েছে কালিম্পং জেলায়। এই জেলায় মোট হোমস্টের সংখ্যা ৩,৩৩৮। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে সরকার অনুমোদিত হোমস্টের সংখ্যা ১৭০০। কিন্তু সরকারি অনুমোদন ছাড়াও রয়েছে বহু হোম স্টে। বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা এসে স্থানীয় লোকেদের থেকে লিজে বাড়ি নিয়ে সেখানে হোম স্টে বলে হোটেল চালাচ্ছে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
পর্যটন ব্যবসায়ী রাজ বসু জানান “হোম স্টে পলিসি অনুযায়ী ৬টি ঘর থাকতে হবে। হোমস্টের জন্য কোনও কমার্শিয়াল ট্যাক্স দিতে হবে না। কিন্তু সে সব নিয়ম এখন কেউই মানতে চাইছে না।” ব্যবসায়ীদের দাবি, এখন জেগুলি চলছে সেগুলিকে হোম স্টে না বলে হোমস্টে লজ বলা হোক। কারণ মানুষ ভুল বুঝে সেখানে যাচ্ছেন হোটেলের মতো থাকছেন, বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাতে মানুষের যে গ্রামটা সম্পর্কে জানার কথা ছিল সেটা অজানাই থেকে যাচ্ছে, অজানা থাকছে তাদের সংস্কৃতিও।
(Feed Source: news18.com)