জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৫০০০ পেরোল, হাড়-কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে দাঁতে দাঁত চেপে চলছে উদ্ধারকাজ। বাতাসে শীতের কামড়, বিষাদ আর কান্নার জমাট পাহাড় প্রতিটি ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে অদৃশ্য ভাবে মিশে আছে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা আধমরা বা তার চেয়েও খারাপ অবস্থায় বেঁচে আছেন। সাতদিন খেতে পাননি। যাঁরা সৌভাগ্যবশত একেবারে অক্ষত অবস্থায় আছেন, তাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন। গোটা দেশে খাবারদাবার নেই। খিদের কান্নায় ভারী হয়ে আছে সিরিয়া-তুরস্কের বাতাস। সকলকে উদ্ধার করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
প্রথম দুটি কম্পনের পরে ১৭০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তুরস্ক-সিরিয়া মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে! আহতের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়েছে। ভূমিকম্পে যাঁরা রক্ষা পেয়েছেন, তাঁরা প্রবল ঠান্ডা ও খিদের সঙ্গে লড়ছেন। ঘরবাড়ি তো সব গিয়েছেই। উদ্ধারকারী দল এখনও দেশের সব প্রান্তে পৌঁছতে পারেনি। মৃতের ও আহতের সংখ্যা দুইই আরও বাড়তে পারে বলে তাদের আশঙ্কা! বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তুরস্কে এত সংখ্যক বাড়িঘর ভেঙে পড়ার কারণ শুধু এই ভূমিকম্প নয়, অপরিকল্পিত নির্মাণকাজের জন্যই তা ভেঙে পড়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তুরস্ককে নতুন করে গড়ে তুলতে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার খরচ হবে।
পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষ আটকে। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ভারতের পাঠানো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও পাঠানো হয়েছে ত্রাণ। তুরস্ক ও সিরিয়ার এই ভূমিকম্পকে এক দশকের মধ্যে সব থেকে শক্তিশালী ও ভয়ংকর ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ খুবই কঠিন হয়ে উঠছে। উদ্ধারকাজে কখনও অত্যাশ্চর্য ঘটনাও ঘটছে। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এখনও বহু মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাচ্ছে।
ভূমিকম্পে শুধু সিরিয়াতেই ৫৩ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ৮ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়েছেন। দ্রুত তাঁদের কাছে ত্রাণ না পৌঁছলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
(Feed Source: zeenews.com)