কলকাতা: বকেয়া ডিএ না মেটালে এবার পঞ্চায়েত পেনডাউনের (Pen Down) হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের। বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে শহিদ মিনারে ১৯দিনে সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের ধর্না। ডিএ-র দাবিতে ধর্নামঞ্চেই অসুস্থ ২ অনশনকারী, হাসপাতালে ভর্তি।
পেনডাউনের হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের: বকেয়া DA-এর দাবিতে মঙ্গলবার ১৯ দিনে পড়ল আন্দোলন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই অনশনকারী। সেই সঙ্গে চড়ল হুঁশিয়ারি। রাজ্য সরকার বকেয়া DA-এর দাবি না মেটালে, পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা সরকারি কর্মচারীরা যুক্ত থাকতে পারব না, ভোট প্রক্রিয়া বয়কট করব।’’
বকেয়া DA-এর মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এরই মধ্যেই শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ৩৫টি সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। গত শুক্রবার থেকে কয়েকজন অনশনও শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই অনশনকারী। সোমবার রাতে আন্দোলনকারী সঞ্জিত চক্রবর্তীকে প্রথমে SSKM ও পরে আর এন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ICU-তে রয়েছেন তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনকারী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য। তাঁকে SSKM-এ ভর্তি করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারকে আজ ও কাল সময় দিয়েছি, এর মধ্যে সদর্থক ভূমিকা পালন না করলে, কর্মসূচির দিকে এগিয়ে যাব। প্রশ্ন – সরকারের তরফে কেউ যোগাযোগ করেছিল? উত্তর – এখনও পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি। এটাই তো অবাক বিষয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কর্মীরা ১৯ দিন ধরে মৌলিক দাবি নিয়ে অবস্থানে বসে আছেন, তারপরও সরকারের সময় হয় না ৫ মিনিট কথা বলার। এই সরকারকে ধিক্কার জানাই, এটাও জানাই আমরা যদি বিরুদ্ধ পক্ষ হই সরকারের, তাহলে এই সরকার কিন্তু বেশিদিন গদিতে থাকবে না।’’
পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং মুখ্যসচিবকেও চিঠি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। এই ফারাক কবে মিটবে, তার সদুত্তর কারও কাছে নেই। তবে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
(Feed Source: abplive.com)