ইরান থেকে কলকাঠি আল কায়দার নয়া প্রধানের, দাবি মার্কিন বিদেশ দফতরের

ইরান থেকে কলকাঠি আল কায়দার নয়া প্রধানের, দাবি মার্কিন বিদেশ দফতরের

ওয়াশিংটন: আল-কায়দার (Al Qaeda) নয়া প্রধান, সইফ অল-আব্দেল (Saif Al-Abdel) যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছে ইরান (Iran) থেকে, স্পষ্ট দাবি মার্কিন বিদেশ দফতরের (US State Department)। এনিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে সিলমোহর দিলেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। ২০২২-র জুলাইয়ে আয়মান অল জাওয়াহিরির মৃত্যুর পর থেকে বিশ্বত্রাস জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাটন অল-অব্দেলের হাতেই, দাবি মার্কিন বিদেশ দফতরের। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি নীরব আল কায়দা। 

কে সইফ অল আব্দেল?

    • আল কায়দা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে অল আব্দেলকে তাদের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেনি। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে তালিবানি জমানা ফিরে আসায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। সম্ভবত সেই কারণেই এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
    • রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর জুলাইয়ে কাবুলে এক মার্কিন রকেট হানায় মারা যায় আল কায়দার প্রাক্তন প্রধান আয়মান অল জাওয়াহিরি। 
    • সূত্রের খবর, সইফ অল-আব্দেল ইরানে রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে গোপনীয়তা বজায় রাখতে মরিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী। 
    • মিশরের সেনাবাহিনীর ৬২ বছরের এই লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল কায়দার অন্যতম পুরনো সদস্য।  
    • রেকর্ড বলছে, ৯/১১ হামলায় বিমান ছিনতাইকারীদের বেশ কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল অল-আব্দেল। তা ছাড়া আল কায়দার কার্যক্ষমতার অনেকটাই তার নিজের হাতে তৈরি। 
    • ২০০২-২০০৩ সাল থেকে ইরানে রয়েছে সে। প্রথমে বেশ কয়েক বছর গৃহবন্দি ছিল মিশরের বাহিনীর এই লেফটেন্যান্ট কর্নেল। পরে তবে পরে যে সে একাধিকবার পাকিস্তান সফর করেছে সে খবরও উঠে এসেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে। 
    • একাধিক রিপোর্টে দাবি, বিশ্বজুড়ে যে জেহাদি কার্যকলাপ চলে সে ব্যাপারে রীতিমতো পোড়খাওয়া অল-আব্দেল।  

মৃত্য়ু জাওয়াহিরির…
গত বছর মার্কিন রকেট হামলায় মারা যায় আল কায়দা শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি। কাবুলে গোপন ডেরাতেই শেষ মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে তার। ৯/১১ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী ছিল এই জঙ্গিপ্রধান। এক সপ্তাহ আগেই অপারেশন শুরু হয়েছিল। ঘটনার দিন সকালে ধেয়ে আসে রকেট হেলবয়। তার পরেই শেষ জঙ্গিপ্রধান।  ৯/১১-র বদলা সম্পূর্ণ ,মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোনও সাধারণ নাগরিকের এতে মৃত্যু হয়নি, আরও দাবি ছিল তাঁর। যদিও গোটা ঘটনার সমালোচনা করে তালিবান। প্রসঙ্গত, এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইসলামিক স্টেট-এর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবরে প্রকাশ, সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন সামরিক অভিযানের মধ্যেই বাগদাদির মৃত্যু হয়। জানা যায়, মার্কিন স্পেশাল অপারেশনসের ফোর্স যখন অভিযান চালাচ্ছিল, সেই সময় সুইসাইড ভেস্ট পরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট- ‘একটা বড় ঘটনা সবে মাত্র ঘটেছে’। 

(Feed Source: abplive.com)