বংশবৃদ্ধিই লক্ষ্য, বিদেশ থেকে এল আরও একডজন চিতা, আপাতত কোয়রান্টিনে

বংশবৃদ্ধিই লক্ষ্য, বিদেশ থেকে এল আরও একডজন চিতা, আপাতত কোয়রান্টিনে

গোয়ালিয়র: বিদেশ থেকে ফের ভারতে আমদানি হল চিতার (Cheetahs from South Africa)। কয়েক মাস আগে নমিবিয়া থেকে আটটি নমিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল আটটি চিতা। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকে থেকে ভারতে এসে পৌঁছল আরও ১২টি চিতা। আকাশপথে শনিবার মধ্যপ্রদেশে  ওই ১২টি চিতা এসে পৌঁছল।

দক্ষিণ আফ্রিকে থেকে ভারতে এসে পৌঁছল আরও ১২টি চিতা

এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ওই ১২টি চিতা নিয়ে নামে বায়ুসেনা একটি বিমান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের (Kuno National Park)। আপাতত কোয়রান্টিনে রাখা হবে সকলকে (Cheetahs in India)।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি চিতা আনা হল, তাদের মধ্যে পুরুষ চিতা সাতটি, নারী ৫টি। কুনো জাতীয় উদ্যানের এনক্লোজারে আপাতত কোয়রান্টিনে রাখা হবে তাদের। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এবং পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের হাতে খাঁচা খুলে তাদের ছেড়ে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায়।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, কুনো জাতীয় উদ্যানে ১২টি চিতাকে কোয়রান্টিনে রাখার জন্য ১০টি এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আনা পশুদের ৩০ দিন নিভৃতে রাখাই দস্তুর ভারতের বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, যাতে রোগভোগ সংক্রান্ত বিপদ টের পাওয়া যায় আগেই, এড়ানো যায় বিপদ।

এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নমিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল ওই কুনো জাতীয় উদ্যানেই।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন, ১৭ সেপ্টেম্বর চিতাগুলি ভারতে এসে পৌঁছয়। নিজেহাতে প্রধানমন্ত্রীই সেগুলিকে মুক্ত করেন। এই মুহূর্তে ওই চিতাগুলিকে ৬ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত বিশেষ এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। সেখানে পরস্পরের সংস্পর্শেই রয়েছে তারা। খুব শীঘ্র অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ভারতকে ফের চিতার বাসযোগ্য করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ

ভারতকে ফের চিতার বাসযোগ্য করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন শেষ চিতাটির মৃত্যু হয় ভারতে। এর পর ১৯৫২ সালে চিতাকে দেশের মধ্যে বিলুপ্ত প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর, বছর তিনেক আগে ফের ভারতকে চিতার বাসযোগ্য করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র।

সেই মতো গতবছর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম দফায় ১২টি চিতা আনা হয়, যা কিনা পৃথিবীর মধ্যে প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় স্থানান্তরণ প্রকল্প ছিল। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টও এর পক্ষেই রায় দিয়েছিল। পরীক্ষামূলক ভাবে দেশের কিছু জায়গায় আফ্রিকা থেকে আনা চিতা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।

নমিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাই নয় শুধু, আফ্রিকার অন্য দেশ তেকেও চিতা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। চিতার বংশবিস্তারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ বছরে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তার পর প্রয়োজন অনুযায়ী রদবদল ঘটানো হতে পারে।

(Feed Source: abplive.com)