অফিসের তাড়াহুড়ো। ব্যস্ত টাইম। ভিড় সড়ক। আর আপনি ফেঁসে রয়েছেন বাজে ট্রাফিকে। শহুরে জীবনে এই ছবি খুবই চেনা। একবার ভেবে দেখুন, যদি এমন ট্রাফিক থেকে বাঁচিয়ে আপনাকে আকাশপথে ফ্লাইং ট্যাক্সি সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, তাহলে কেমন হবে!
এবার আইআইটি মাদ্রাজে তৈরি হল ইলেকট্রিক ফ্লাইং ট্যাক্সি। যাত্রী পরিবহনে যা হেলিকপ্টারের চেয়ে দ্রুততার নিরিখে রয়েছে এগিয়ে। উল্লেখ্য, সদ্য বেঙ্গালুরুতে ‘এরো ইন্ডিয়া শো’-তে বিভিন্ন আকাশযানের প্রদর্শন হয়েছে। বিভিন্ন আকাশযানই সেখানে তাক লাগিয়েছে দর্শকদের। তারই মাঝে রয়েছে এই ইলেকট্রিক ফ্লাইং ট্য়াক্সি।
উল্লেখ্য, এই ফ্লাইং ইলেকট্রিক ট্যাক্সি আইআইটি মাদ্রাজের একটি স্টার্ট আপ-এর আওতায় তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ওই স্টার্ট আপ তৈরি হয়। তারাই সদ্য ২০২৩ এরো ইন্ডিয়া শোতে এই ইলেকট্রিক ফ্লাইং ট্যাক্সির প্রদর্শনকে তুলে ধরে। যাতে শহুরে পথের ট্রাফিকে আটকে পড়তে না হয়, যাতে দরকারি পরিবহনের সময় থমকে যেতে না হয়, সড়কপথে, তার দিকে নজর রেখেই এই ফ্লাইং ট্যাক্সি তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, ‘ই প্ল্যান কম্পানি’ নামের ওই সংস্থা এই মেশিন তৈরি করেছে। সংস্থা বলছে, যাতে শহুরে পরিবহন ঝঞ্ঝাট মুক্তভাবে এগিয়ে যেতে পারে, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ। এছাড়াও দ্রুততার নিরিখে এই যান খুবই কার্যকরী। একবার মাত্র চার্জ দিলেই ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে এই হাওয়াপথের যান!
ওই স্টার্ট আপ সংস্থার দাবি, ওই বিশেষ যান সাধারণ চার চাকার গাড়ির থেকে ২০ গুণ বেশি দ্রুত। তবে তাদের দাবি, এই যানে যাত্রী পিছু খরচও অন্যান্য যানের থেকে বেশি। যদি উবর-এ বুকিংয়ের নিরিখে দেখা যায়, তাহলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে উবর-এর বুকিংয়ে যা খরচ তার দ্বিগুণ খরচ এই ইলেকট্রিক ফ্লাইং ট্যক্সিতে। ফলে একই দূরত্বে উবর বুকিংয়ে যে খরচ, তার চেয়ে বেশি খরচ হবে এই ফ্লাইং ট্যাক্সিতে। সংস্থার সিটিও অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী ও সিইও প্রাঞ্জল মেহতা এই আকাশযান নিয়ে বেশ আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, এই উড়ন্ত ট্যাক্সি বেশি জায়গা দখল করে উত্তরণ বা অবতরণ করে না। আর পার্ক করার জন্য লাগে ২৫ স্কোয়ারমিটার এলাকা। সব শুনে কী সিদ্ধান্ত নিলেন? এমন ফ্লাইং ট্যাক্সিতে চড়েই কি ভবিষ্যতে অফিস যাবেন আপনি?
(Feed Source: hindustantimes.com)