SSC দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! চন্দনকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি CBI-এর

SSC দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! চন্দনকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি CBI-এর

কলকাতা: এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগের কথা শুক্রবার চন্দনকে গ্রেফতারের পরেই আদালতেই জানিয়েছিল সিবিআই।

ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে সিবিআই। আর তাতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রাইমারি টেট দুর্নীতি থেকে আপার প্রাইমারি, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত এই বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন। রঞ্জনকে তদন্তে সহযোগিতা না করা, তদন্তকারী অফিসারকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাগদার এই চন্দনের যোগাযোগ উপরমহলের সঙ্গে। আর সেই যোগাযোগ কাজে লাগিয়েই উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগ তৈরি করেছিলেন চন্দন বলে দাবি সিবিআইয়ের।

এখানেই শেষ নয়, চাকরি প্রার্থীদের হয়ে সুপারিশ পত্র সরাসরি পাঠাতেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যের কাছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে গ্রুপ সি নিয়োগের প্রায় ১০০ চাকরি প্রার্থীর থেকে নগদ টাকা নিয়েছিলেন চন্দন।

চাকরি প্রার্থী পিছু চার থেকে সাত লক্ষ করে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই টাকায় কে কে লাভবান হয়েছেন তা জানতে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। কত টাকা পেয়েছিলেন উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্য? কতটা লাভবান হয়েছেন চন্দন নিজে? সবটাই খোঁজ নিতে জেরা করা হচ্ছে চন্দনকে। চন্দন ছাড়াও এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও চার অভিযুক্ত এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদেরও জেরা চলছে।

উল্লেখ্য এই রঞ্জনের বিষয় সামনে এসেছিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন ‘সৎ’ রঞ্জন বলে। যিনি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন অনেকেই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন উপেনবাবু। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

(Feed Source: news18.com)