দু সপ্তাহে ভাইয়া টু সাঁইয়া! বরকে ‘ভাই’ বলে ট্রোলড স্বরা, বউয়ের হয়ে জবাব ফাহাদের

দু সপ্তাহে ভাইয়া টু সাঁইয়া! বরকে ‘ভাই’ বলে ট্রোলড স্বরা, বউয়ের হয়ে জবাব ফাহাদের

দু-দিন আগেই আইনি বিয়ে সেরেছেন স্বরা ভাস্কর। নায়িকার পাত্র পরিচিত মুখ রাজনীতির আঙিনায়। সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী। বিয়ের খবর সামনে আসবার পর থেকেই ভাইরাল স্বরা ভাস্করের দু-সপ্তাহ আগের একটি টুইট। সেখানে হবু বরকে (সেই সময়) ‘ভাইয়া’ বলে সম্বোধন করেছিলেন সলমন খানের ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ কো-স্টার। সেই নিয়ে নেটিজেনরা, বিশেষত গেরুয়া শিবিরের সমর্থকদের কাছে খিল্লির পাত্রী হন স্বরা।

এই বিতর্ক নিয়ে স্বরা চুপ থাকলেও, জবাব দিলেন তাঁর স্বামী ফাহাদ আহমেদ। সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা টুইট বার্তায় লেখেন, অন্তত সংঘিরা এটা তো মেনে নিল যে হিন্দু-মুসলিম ভাই-বোন হতে পারে। ফাহাদ আরও বলেন, ‘আরে এটা মেনে নিন যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এইটুকু হাসি-ঠাট্টা চলতে পারে’।

এই মাসের ২তারিখ বরের জন্মদিনে মজাদার টুইট করেন স্বরা। বিয়ের আবেদনপত্র সেইসময় জমা দিয়ে দিলেও জুটির প্রেম কাহিনি সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞাত ছিল গোটা দুনিয়া। সেই টুইটে স্বরা লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন ফাহাদ মিঞা! ভাইয়ের আত্মবিশ্বাস অটুট থাকুক। ফাহাদ.. সুখী হও, স্থির হও.. তুমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছ, এবার বিয়ে করো! একটা দুর্দান্ত জন্মদিন কাটুক এবং একটি দুর্দান্ত বছর দোস্ত!’ সেই টুইট থেকে দু-সপ্তাহ আগেও কেউ ভ্রু কুঁচকাননি। তবে বিয়ের পর্ব সারতেই এই টুইটের জেরেই ট্রোলড হন স্বরা।

গত ৬ই জানুয়ারি বিশেষ বিবাহ আইন, ১৯৫৩-এর আওতায় বিয়ের আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন দুজনে। সেই মতো গত বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়ে ভিনধর্মের এই বিয়ে সারেন দুজনে। ইতিমধ্যেই স্বরা-ফাহাদের বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৌলবাদীরা। এই বিয়ে আইনসিদ্ধ হলেও তাঁদের মতে শরিয়ত-সিদ্ধ নয়, যেহেতু ইসলাম গ্রহণ করেননি স্বরা।

‘আই লাভ ইউ’ নয় ‘ইনকিলাব’ দিয়ে শুরু এই প্রেম কাহিনি। দু-বছর আগে ধর্ণা মঞ্চে শুরু তাঁদের বন্ধুত্ব, এরপর ধীরে ধীরে পরস্পরের প্রেমে মশগুল হওয়া। ধর্ম বাধ সাধেনি এই সম্পর্কে, পরিবারের সম্মতিতে ৩১ বছরের ফাহাদের গলায় মালা দিলেন ৩৪ বছরে স্বরা। বিয়ের পর্ব মিটতেই বিশেষ বিবাহ আইনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লেখেন, ‘ভালবাসাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য এমন যে এক আইন রয়েছে এতেই আমি ধন্য (যদিও নোটিশ পিরিয়ডের ঝক্কি, ইত্যাদি রয়েছে)। ভালোবাসার অধিকার, নিজের পছন্দমতো সঙ্গী নির্বাচন, তাকে বিয়ে করার অধিকার—এগুলো যেন বিশেষ সুবিধা না হয়, বরং স্বাভাবিক ভাবেই যেন পায় মানুষ।’

স্বরাকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে ‘জাহান চার ইয়ার’ ছবিতে। আইনি বিয়ের পর সামাজিক রীতি মেনেও বিয়ে সারবেন দুজনে। মার্চ মাসে বসবে সেই বিয়ের আসর।