ট্রেন্ড ২০২৩! এই সব ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে পারে সারা বিশ্ব, লাভ ওঠান আপনিও!

ট্রেন্ড ২০২৩! এই সব ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে পারে সারা বিশ্ব, লাভ ওঠান আপনিও!

কলকাতা: ক্রমশ বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। প্রযুক্তির হাত ধরে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে পেশার ধরন। গত কয়েক বছরে একাধিক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে যারা এমন ব্যবসা করে, যা গত দশকে মানুষের ভাবনা-চিন্তার বাইরে ছিল। এমন নতুন নতুন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরও গড়ে উঠবে। ২০২৩ সালে যে সব ব্যবসা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, জেনে নেওয়া যাক তাদের কয়েকটির কথা!

২০২৩ সালে এমন অজস্র ব্যবসা লাভজনক হতে পারে। কিন্তু তারই সঙ্গে যদি মিলে যায় উদ্যোক্তার নিজস্ব আগ্রহ, তবে তো সোনায় সোহাগা। যেমন,

১. ওয়েব ডিজাইনিং কোম্পানি

অনলাইন ব্যবসার একটা প্রধান অঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়া। তবে এটাই সব নয়। সে জন্য সুপরিকল্পিত ওয়েবসাইটের প্রয়োজন। তাই ওয়েব ডিজাইনিং খুব ভাল পন্থা হতে পারে। অভিজ্ঞরা এমন ব্যবসা চালু করতে পারেন। প্রয়োজনে নিজেরা কাজ শিখে নিয়েও তা শুরু করতে পারেন।

২. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ব্র্যান্ড

স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস বজায় রাখতে অ্যাপ ব্যবহার করে। প্রযুক্তি-মনস্ক উদ্যোক্তারা একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ব্র্যান্ড চালু করতে পারেন। বিপণনের পাশাপাশি এই লাভজনক ব্যবসায়িক ধারণা প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হল কোডিং।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং ব্র্যান্ড

বর্তমান সময়ে যে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই অনলাইন উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন। ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞরা কৌশলগত ভাবে ব্যবসায়িক বৃদ্ধিতে সহায়তা করেন। ডিজিটাল ব্র্যান্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেই মার্কেটিং ব্র্যান্ড তৈরি করে ফেলা সম্ভব।

৪. এসইও ব্যবসা

অ্যালগরিদম এখন পৃথিবীর চালিকা শক্তি, একথা বোধহয় বলাই যায়। তাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও-এর কদরও বেড়েছে। ফলে এ বিষয়ে জ্ঞান থাকলে নিজের পেশাগত ব্যবসা খুলে বসতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

৫. গাড়ি ধোয়ার ব্যবসা

রাস্তায় ক্রমশ বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীতে গাড়ির বাজার প্রায় ৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিত্য গাড়ি ধোয়ার প্রয়োজনও বাড়বে। সেক্ষেত্রে তরুণ উদ্যোগপতিরা গাড়ি ধোয়ার ব্যবসা চালু করতেই পারেন।

৬. ভার্চুয়াল শিক্ষকতা

করোনা অতিমারী দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইনে পড়াশোনা কী ভাবে এগোতে পারে। তাই যাঁরা বাড়ি থেকে পড়াশোনার কাজে ব্যস্ত থেকে কিছু রোজগার করতে চান, তাঁরা অনায়াসে অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন। তাতে ছাত্র প্রতি কম রোজগার হলেও সার্বিক ভাবে নিজের ব্যবসা দাঁড় করানো সহজ হবে।

৭. ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ সংস্থা

শুধু লেখাপড়াই নয়। অন্য অনেক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিগত শরীর ও মনের চর্চা। ফলে অনলাইন যোগ বা প্রাণায়মের ক্লাস নেওয়া যেতেই পারে। রান্নার ক্লাসও করা যেতে পারে।

৮. কেটারিং ব্র্যান্ড

করোনা অতিমারীর সময় বহু কেটারিং সংস্থাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে যাঁরা ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি তাঁরা ছোট এলাকায় নতুন করে কেটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এলাহি আয়োজনের বদলে হালকা, স্থানীয় পছন্দের রান্নাবান্না থাকলে মানুষের আগ্রহ বাড়বে।

৯. আইটি সাপোর্ট

করোনা অতিমারী কালে বহু সংস্থাই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে দিয়েছিল। সেই অভ্যাস এখনও কাটেনি। কিন্তু এভাবে কাজ করতে গেলে যে সব প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তাতে সহায়তা করার মতো মানুষ কমে গিয়েছে। কারণ ওই সব বড় সংস্থা নিযুক্ত তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের তো সব কর্মী বাড়ির কাছে পাবেন না। তাই এলাকা ভিত্তিক ক্ষুদ্র স্তরে একটি আইটি সাপোর্ট সংস্থা লাভ দায়ক হতেই পারে।

১০. প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট

অতিমারী পরবর্তীকালে সারা বিশ্বেই আবাসন শিল্প ব্যাপক মন্দার মুখোমুখি। বহু মানুষই নিজের বাড়ি কেনার থেকে ভাড়া বাড়িতে থাকার কথা ভাবছেন। সেক্ষেত্রে জমি বাড়ি কেনা বেচার পাশাপাশি, সুষ্ঠু ভাবে বাড়ি ভাড়া দেওয়া বা তদারক করাও একটি পেশা হতে পারে।

(Feed Source: news18.com)