নামমাত্র খরচে ব্যাপক আয়! সিদল শুঁটকি বানিয়ে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়ছে মেয়েদের

নামমাত্র খরচে ব্যাপক আয়! সিদল শুঁটকি বানিয়ে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়ছে মেয়েদের

জলপাইগুড়ি: মূলত পূর্ব বঙ্গের সৃষ্টি এই সিদল শুঁটকি। বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয়। উত্তরবঙ্গের একটি উল্লেখযোগ্য খাবার সিদল যাকে সিদল ভর্তাও বলা হয় । শুঁটকি মাছ ও কচুর ডাটা দিয়ে তৈরি একটি খাবার এটি।সিদল যেমন সুস্বাদু, তেমনই দুর্দান্ত সুগন্ধে জিভে জল আসে। খিদের উদ্রেক হয়। ম্যালেরিয়া রোগীর খাবারের রুচি ফিরিয়ে আনে ‘সিদল’।

সিদল এখন তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের দাসপাড়া এলাকায়। এখন দাসপাড়া এলাকার বেশ কিছু পরিবারের অর্থ উপার্জনের মূল পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিদলের ব্যবসা। তারা সিদল তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

কীভাবে তৈরি করা হয় উওরবঙ্গের জনপ্রিয় এই সিদল? জানা গিয়েছে, প্রথমে মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে ৫-৬ দিন শুকিয়ে নিতে হয়। মচমচে হলে মাছের শুঁটকিগুলো উরুনগান বা শিল-পাটায় গুঁড়া করে এরপর সাদা মানকচু ও কালো কচুর শুধু ডাঁটা ধুয়ে নিয়ে কাঁচা অবস্থায়ই বাটতে হয়। কচুবাটার সঙ্গে মলা, ডারকা বা পুঁটি মাছের আধাভাঙা গুঁড়া, প্রয়োজনমতো শুকনো লঙ্কা, লবণ, রসুন, আদা বাটা সবকিছুর সঙ্গে মেশাতে হয়। সব মেশানো হয়ে গেলে একদিন পর মণ্ডগুলো হলুদ ও সর্ষের তেল দিয়ে মেখে হাত দিয়ে গোল বা চ্যাপটা করে ৫-৬ দিন রোদে শুকোতে হয়। ডালা বা কুলোয় ঢেকে (যাতে পাখি খেতে না পারে) শুকিয়ে একটু শক্ত হলেই তৈরি হয় সিদল।

সিদল ব্যবসায়ী রিনা দাস বলেন, বেশ চাহিদা রয়েছে শহরে। জলপাইগুড়ি জেলার বাইরে থেকেও লোক এসে নিয়ে যায় সিদল। চাহিদা এতোই যে আমি সেই অনুযায়ী বানিয়ে উঠতে পারি না। সিদল বানাতে খরচও কম, লাভ হয় অনেক।

(Feed Source: news18.com)