নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans) হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। তবে এ দিন জেতার পরও বলে দেওয়া যাচ্ছে না যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছে। গুজরাতকে ৮ উইকেটে হারানোর ফলে আরসিবি-র পয়েন্ট এখন ১৬। দিল্লির পয়েন্ট ১৪। শনিবার মুম্বইকে যদি দিল্লি হারিয়ে দেয় তাহলে প্লে-অফে পৌঁছে যাবে ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) দলই। কারণ বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাটে রানের পরেও আরসিবি-র থেকে রান রেটে অনেকটাই এগিয়ে দিল্লি।
গুজরাত আগেই পৌঁছে গিয়েছে প্লে-অফে। এই ম্যাচের ফলাফল নিয়ে তারা মোটেও ভাবিত নয়। কিন্তু আরসিবি-র কাছে আজকের ম্যাচ ছিল একপ্রকার মরণ বাঁচন। সেই ম্যাচে জ্বলে উঠলেন বিরাট। চলতি আইপিএল-এ নিজের চেনা ছন্দে ধরা দিচ্ছেন না বিরাট। সেই জায়গায় মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন তিনি। গুজরাতের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ওপেনিং পার্টনার ফ্যাফ ডু’ প্লেসিসও অন্য অবতারে ধরা দিলেন।
গুজরাত টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতেই হ্যাজলউডের বলে শুভমান গিলের (১) দুরন্ত ক্যাচ ধরেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাথু ওয়েড (১৬) এলবিডব্লিউ হন ম্যাক্সওয়েলের বলে। ঋদ্ধিমান সাহা ভালই খেলছিলেন। কিন্তু হার্দিক পাণ্ডিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে রান আউট হন ঋদ্ধি (৩১)। গুজরাত তখন তিন উইকেটে ৬২ রান। এরপরে ডেভিড মিলার ও হার্দিক গুজরাটের ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ফেরেন ডেভিড মিলার। শেষের দিকে রশিদ খান ও অধিনায়ক হার্দিক মারমুখী হয়ে ওঠায় গুজরাত ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে।
এই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে থাকেন বিরাট ও ডু’ প্লেসিস। ডু’ প্লেসিস ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আউট হন। আরসিবি ততক্ষণে তুলে ফেলেছে ১১৫ রান। দারুণ ছন্দে ব্যাট করছিলেন ‘কিং কোহলি’। কিন্তু ম্যাচের মোক্ষম সময়ে রশিদ খানকে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে স্টাম্প হন বিরাট (৭৩)। বাকি কাজটা সারেন ম্যাক্সওয়েল। ৪০ রানে অপরাজিত থেকে যান এই অজি তারকা।
(Source: zeenews.com)