‘ছোটবেলায় পড়াশোনায় মন ছিল না, তারপর একদিন…’ কী হয়েছিল মাইক্রোসফট CEO-র?

‘ছোটবেলায় পড়াশোনায় মন ছিল না, তারপর একদিন…’ কী হয়েছিল মাইক্রোসফট CEO-র?

দুঁদে IAS অফিসারের সন্তান। বাবার মতোই পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান ছিলেন ছোট্ট সত্য নাদেলা। আজ সেই কারণেই তিনি বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি সংস্থার সিইও। যাঁর বেতন শুনলে লজ্জা পাবেন শিল্পপতি-ধনকুবেররাও। মাইক্রোসফটের CEO সত্য নাদেলা নিজের মুখেই তুলে ধরলেন তাঁর সেই যাত্রার কাহিনী। লিঙ্কডইনের সিইও রায়ান রোসলানস্কির সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় নিজের গল্পই শোনালেন সত্য নাদেলা।

তিনি জানান, ‘আমি আজকে যা কিছু হতে পেরেছি, তাতে আমার বাবা-মায়ের ব্যাপক অবদান রয়েছে। আমার বাবা একজন সরকারি কর্মী ছিলেন। মা সংস্কৃত অধ্যাপিকা। তাঁরা কিছুটা একে অপরের ঠিক বিপরীত ছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁরা আমাকে নিজের মতো করে বেড়ে ওঠার, নিজের প্যাশনকে অনুসরণ করার জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও ভরপুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছিলেন। এই একটি বিষয়ে তাঁরা সবসময়ে একমত ছিলেন।

তিনি বলেন, ছোটবেলায় তিনি কখনই খুব একটা পড়াশোনার ধার ধারতেন না। বরং ক্রিকেট খেলাতেই বেশি আগ্রহ ছিল। কিন্তু সেই সময়ে হঠাত্ই প্রথমবার একটি কম্পিউটার ব্যবহার করতে শেখেন। আর সেটাই জীবনের লক্ষ্য পাল্টে দেয়।’

এরপর ধীরে ধীরে পড়াশোনার প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। নিজেকে সফটওয়্যারের জগতে সঁপে দেন।

স্টিভ বালমারের পর, ২০১৪ সালে সত্য নাদেলা মাইক্রোসফটের সিইও হন। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সত্য নাদেলা ১৯৬৭ সালের ১৯ অগস্ট হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা বুক্কাপুরম নাদেলা যুগন্ধর একজন IAS অফিসার ছিলেন। মা প্রভাবতী সংস্কৃতের অধ্যাপিকা ছিলেন। বুক্কাপুরম নাদেলা ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিং সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন।

হায়দরাবাদে স্কুল জীবন শুরু। কর্ণাটকে মনিপাল ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন সত্য নাদেলা। এরপর পাড়ি দেন মার্কিন মুলুকে। সেখানে উইসকনসিন-মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে MSc করেন। এরপর সান মাইক্রোসিস্টেমে কাজ করতেন। ১৯৯২ সালে মাইক্রোসফটে যোগ দেন। সেখানে কর্মরত অবস্থাতেতই শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি MBA পাশ করেন।

CEO হওয়ার আগে, মাইক্রোসফটের ক্লাউড এবং এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। সংস্থার কম্পিউটিং প্লাটফর্ম তৈরি, ডেভেলপার টুল এবং ক্লাউড সার্ভিস তৈরির বিষয়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। প্রায় ২২ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ধাপে ধাপে উঠে আসেন CEO-র পদে।

(Feed Source: hindustantimes.com)