কুন্তল–শান্তনুকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস, তদন্তের মধ্যেই সিদ্ধান্ত দলের

কুন্তল–শান্তনুকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস, তদন্তের মধ্যেই সিদ্ধান্ত দলের

নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার আরও দুই নেতার বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব ছিলেন। সেখানে কুন্তল–শান্তনু স্রেফ যুব নেতা। আগেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন, দলকে সামনে রেখে কেউ অপরাধ করলে এবং কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে তাঁকে আশ্রয় দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। সে যত বড়ই নেতা হন। এই সিদ্ধান্ত মতোই এবার কাজ করল ঘাসফুল শিবির। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘আমরা বারবার বলে এসেছি এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাঁদের রেয়াত করা হবে না।’

এদিকে বিধায়ক তথা দলের সদস্য মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেখানে যুবনেতাদের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন। তবে শান্তনুকে গ্রেফতারের পাঁচদিনের মাথায় বহিষ্কার করা হল। আর কুন্তল ঘোষের ক্ষেত্রে সময় লাগল দেড় মাস। আর অনুব্রত মণ্ডল এখনও বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। শশী পাঁজার কথায়, ‘নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন, তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করে না। আমরা সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। কুন্তল–শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’‌

অন্যদিকে বিজেপিকে দেখা গিয়েছে তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে বলে দাবি করেছেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘‌হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন অমিত শাহ। আবার ৩৫০ কোটিতে যেখানে শুভেন্দুরও সুপারিশ করা প্রার্থীরা রয়েছেন। সেখানে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। কাদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ তার তালিকা দেবে তৃণমূল। তালিকায় ৫৯ জন রয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকেই আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। ভোটে পারছে না, উন্নয়নে পারছে না। তাই ইডি–সিবিআই করছে।’‌ আর ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমাদের অপরাধ, আমরা তিনবারের নির্বাচিত সরকার। আপনারা হয়তো আরও তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করবেন। করুন, কিন্তু বিজেপি নেতাদের একবারও ডাকবেন না? নারদা ও সারদা কোনও ট্রায়াল এখনও হয়নি।’‌

(Feed Source: hindustantimes.com)